Connect with us

শিক্ষা

সার্টিফিকেটের ভুল সংশোধন করতে করণীয়

test

Avatar of author

Published

on

সার্টিফিকেটের ভুল

বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষায় পাশের পর প্রাপ্ত সনদপত্রে অনেকেরই নাম ও অন্যান্য তথ্যে ভুল থাকে। সেগুলো সংশোধন করতে শিক্ষাবোর্ডে যাতায়াত করে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এতে অর্থ এবং শ্রম উভয়ই বেশি খরচ যায়। তবে আপনি চাইলে এখন থেকে অনলাইনেই কাজটি সেরে ফেলতে পারেন। নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অনলাইন আবেদন করে নামসহ যে কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারেন আপনি নিজেই। প্রশ্ন আসে কিভাবে ? তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

নোটারি পাবলিক

নাম বা জন্মতারিখের ভুল সংশোধনের জন্য প্রথমে আইনজীবীর মাধ্যমে নোটারি বা এফিডেভিট করাতে হবে। প্রার্থীর নিজের নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে তার বয়স যদি ১৮ বছরের বেশি হয়, তাহলে তিনি নিজেই এফিডেভিট করতে পারবেন। প্রার্থীর বয়স যদি ১৮ বছর পূর্ণ না হয় বা প্রার্থী যদি তার মা-বাবার নাম সংশোধন করতে চান, তাহলে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে প্রার্থীর বাবা কর্তৃক প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট বা নোটারি পাবলিকের কাছ থেকে এফিডেভিট করতে হবে। এতে খরচ হবে ৫০০ টাকা (কম বেশি লাগতে পারে)।

পত্রিকায় বিজ্ঞাপন

হলফনামা সম্পাদনের পর একটি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর সার্টিফিকেট নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, শাখা, পরীক্ষার সাল, পরীক্ষাকেন্দ্রের নাম, রোল নম্বর, বোর্ডের নাম এবং জন্মতারিখ উল্লেখ করে যা সংশোধন করতে চান (প্রার্থীর নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম বা জন্মতারিখ) তা সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হবে। এজন্য আপনার খরচ হবে ৩০০ টাকা (কম বেশি লাগতে পারে)।

Advertisement

এই ২টি কাজ সম্পাদন করার পর আপনি যেই স্কুল বা কলেজে লেখাপড়া করেছেন সেটির সাহায্য লাগবে। (সার্টিফিকেটের ভুল সংশোধনে অনলাইন আবেদনের ক্ষেত্রে এর কোনো বিকল্প নেই)

এবার আপনি উপরে উল্লেখিত ২ টি কাগজ ও আপনার বাবা-মায়ের নাম সংশোধন হলে তাদের সার্টিফিকেট বা ন্যাশনাল আইডি কার্ড/ আপনার নিজের হলে জন্ম সনদ নিয়ে সরাসরি আপনার প্রতিষ্ঠানে চলে যান। কারণ এটি কলেজের EIIN ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে করা হয়। এর একটিই সুবিধা আপনাকে শিক্ষা বোর্ডে যেতে হচ্ছে না, নিজের স্কুল থেকেই কাজ হয়ে যাবে।

টপিকে ফিরে আসি…

কাগজগুলো রেডি করে আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে জানান। তিনি আপনার প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কম্পিউটার অপারেটরকে অনলাইন আবেদন করার জন্য নির্দেশনা দেবেন। আপনার ডকুমেন্ট স্ক্যান করে আবেদন করলে ফোনে ম্যাসেজ চলে আসবে। তারপর সোনালি ব্যাংকে আবেদন ফি জমা দেওয়ার জন্য একটা রশিদ নিবেন। ৫৫৮ টাকা জমা দিতে হবে (প্রতিটির জন্য)। টাকা জমা দেওয়ার পর রশিদ অবশ্যই যত্ন করে রাখবেন। আবেদন ফি জমা না দিলে আপনার আবেদন গৃহীত হবে না। আবেদন ফি জমা করার পর আপনার জন্য অ্যাডুকেশন বোর্ডের ওয়েবসাইটে আলাদা একটা প্রোফাইল তৈরি হবে।

সেখানে লগ ইন করে আপনি আপনার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারবেন। টাকা জমা দেওয়ার পর ৩ মাস অপেক্ষা করতে হবে। আপনার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ৩ মাস বা এর বেশি সময় লাগবে। যখন কাজ শেষ হবে তখন আপনার ফোনে ম্যাসেজ চলে আসবে এবং আপনি আপনার প্রোফাইলে লগ ইন করবেন। সেখানে আপনার জন্য নতুন একটি অপশন আসবে ‘ডকুমেন্ট উত্তোলন’। সেই অপশনে গিয়ে আপনি ডকুমেন্ট উত্তোলনের আবেদন করবেন।

Advertisement

এবার কলেজে যাওয়ার প্রয়োজন নেই, কারণ এখন আপনার কাছে সেই সাইটে লগ ইনের জন্য পাসওয়ার্ড আছে। সেখানে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে যেই ডকুমেন্ট উত্তোলন করতে চান সেটার জন্য ঘরে বসে আবেদন করুন। আবেদন করার পর উত্তোলন ফি বাবদ ৫৫৮ টাকার সোনালি ব্যাংকে পে করার জন্য একটা ডকুমেন্টস পেয়ে যাবেন। সেটা নিয়ে ব্যাংকে যান। আগের মতোই ফি জমা দিন।

কাজ শেষ, এবার ১ সপ্তাহ অপেক্ষা করুন। তারপর আপনার ফোনে ম্যাসেজ আসবে আপনার ডকুমেন্টস রেডি। তখন আপনি আবার আপনার প্রোফাইলে লগ ইন করে উত্তোলন করার চূড়ান্ত ডকুমেন্টস ডাউনলোড করে প্রিন্ট করুন। এবার আপনাকে প্রথমবারের মতো শিক্ষা বোর্ডে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে ৪ নম্বর ভবনের ৫ তলায় আপনার অরিজিনাল সার্টিফিকেট জমা দিন। এর পরের দিন বিকালে আবার সেই অফিসে যান, চূড়ান্ত ডকুমেন্টস ও ব্যাংকে যে ফি জমা দিয়েছিলেন সেটির মূল কপি জমা দিয়ে বুঝে নিন আপনার নতুন সংশোধিত সার্টিফিকেট।

সম্পূর্ণ প্রসেসটি শেষ হতে ১৪৩ দিন সময় লাগবে (কম বেশি লাগতে পারে)। অনলাইনে কোন প্রকার তদবির ও অতিরিক্ত ফি প্রদান ছাড়া কাজটি করতে হলে আপনাকে একটু ধৈর্য ধরতেই হবে। আর মনে রাখবেন, আপনি বৈধ উপায়ে কাজ করলে যে তৃপ্তি পাবেন সেটা আর কিছুতে পাবেন না। আর এখন এটা আরো সহজ, কারো টেবিলে ফাইল নিয়ে দৌড়ানোর প্রয়োজন নেই। সবাই সচেতন হলেই দপ্তর হবে দুর্নীতিমুক্ত।

Advertisement

জাতীয়

এসএসসির ফলফল প্রকাশ ১২ মে, জানা যাবে যেভাবে

Published

on

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল আগামী ১২ মে (রোববার) প্রকাশ করা হবে। এদিন দেশব্যাপী বেলা ১১টায় সংশ্লিষ্ট সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং অনলাইনে একযোগে ফলাফল প্রকাশিত হবে।

সোমবার (৬ মে) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাসার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

আদেশে জানানো হয়, ফল প্রকাশের পর শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবে শিক্ষার্থীরা। ওয়েবসাইটে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, বছর ও শিক্ষা বোর্ড সিলেক্ট করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে জানা যাবে ফল।

অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট পেতে বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন (EIIN) অ্যান্ট্রি করতে হবে। এর মাধ্যমে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।

এছাড়া মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে 16222 নম্বরে। উদাহরণ: SSC Dha 123456 2024, লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে জানিয়ে দেওয়া হবে পরীক্ষার ফল।

Advertisement

এর আগে গত ৩ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ১২ মে (রোববার) সকাল ১০টায় গণভবনে চলতি বছরের মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফল ও পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হবে। মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী।

২০২৪ সালের এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় ৪৮ হাজার।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

শিক্ষা

মঙ্গলবার থেকে চলবে প্রাথমিকে স্বাভাবিক কার্যক্রম

Published

on

তীব্র তাপদাহের কারণে বন্ধ ঘোষণার পর এবার ধীরে ধীরে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান শুরু হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায় বন্ধ থাকা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর কথা জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সোমবার (৬ মে) দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার থেকে সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারসমূহের শ্রেণি কার্যক্রমসহ সকল কার্যক্রম ২০২৪ শিক্ষা বর্ষের বর্ষপঞ্জী অনুযায়ী চলবে।

ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে গত ২১ এপ্রিল সারাদেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ২০ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়।

প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যেই গত ২৮ এপ্রিল থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। পরদিন হাইকোর্ট দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদরাসার ক্লাস বন্ধের নির্দেশ দেন। পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

Advertisement

এদিকে রেকর্ড ভঙ্গ করা তাপদাহে এক মাসের বেশি সময় পোড়ার পর তা প্রশমিত হয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেই স্বস্তির বৃষ্টি হয়েছে। তবে এবার টানা বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। গতকাল রোববার (৫ মে) রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। এটা পুরো সপ্তাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

শিক্ষা

শুক্রবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার বিষয়ে যা জানালো মন্ত্রণালয়

Published

on

শুক্রবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

রোববার (৫ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফাই পেজে এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

পোস্টে বলা হয়, শুক্রবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফাইড পেজে শিক্ষামন্ত্রীর বরাত দেয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।

এদিকে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলেও গরম কিছুটা কমে আসায় সারা দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হয়েছে। কিছু শর্তসাপেক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত