আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ভারতকে ১৪টি শিল্পকর্ম ফিরিয়ে দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

ভারতের কাছে ১৪টি শিল্পকর্ম ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ভারতের অভিযোগ, চুরি, লুটপাট বা অবৈধ রপ্তানির মাধ্যমে দ্য ন্যাশনাল গ্যালারি অব অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিল এসব শিল্পকর্ম। বিতর্কিত ভাস্কর্য বা ছবিসহ চুরি করা এই ১৪টি শিল্পকর্মের মধ্যে রয়েছে ভাস্কর্য, চিত্রকর্ম, এবং প্রাচীন নথি। ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক এসব শিল্পকর্মের বাজারমূল্য আনুমানিক ২২ লাখ ডলার।

শুক্রবার ব্রিটিশ সম্প্রচারমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, দ্য ন্যাশনাল গ্যালারি অব অস্ট্রেলিয়ার পরিচালক নিক মিৎজেভিচ বলেছেন, ভারতকে এসব শিল্পকর্ম ফিরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের ইতিহাসের জটিল এক অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটবে। মাসের মধ্যে ভারত সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হবে এসব শিল্পকর্ম।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, বিতর্কিত শিল্পকর্মগুলোর কয়েকটি দ্বাদশ শতাব্দীর। তখন তামিলনাডুতে চোল রাজবংশ হিন্দু শিল্পকর্মের ব্যাপক সমৃদ্ধ ঘটিয়েছিল। এছাড়া এ তালিকায় গুজরাটের এক রাজবংশের চিত্রকর্মও রয়েছে।

এক বিবৃতিতে দ্য ন্যাশনাল গ্যালারি অব অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, শিল্পের ইতিহাসের অংশ হিসেবে একটি কাজের আইনি ও নৈতিক উভয় দিক বিবেচনায় নিয়ে পুরাতন পদ্ধতি খতিয়ে দেখে তা মূল্যায়ণে একটি নতুন কাঠামো চালু করেছে তারা।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, যদি কোনো শিল্পকর্ম চুরি বা অবৈধভাবে আমদানি ও বিদেশের আইন লঙ্ঘন করে রপ্তানি ছাড়াও অনৈতিকভাবে আনার প্রমাণ মেলে তাহলে যাচাই করে সংশ্লিষ্টদের সেসব শিল্পকর্ম ফিরিয়ে দেবে ন্যাশনাল গ্যালারি।

১৪টি শিল্পকর্মের ১টি অস্ট্রেলিয়ায় অবৈধভাবে পাচার করেছিলেন সুভাষ কাপুর নামে নিউইয়র্কের একজন শিল্পকর্ম ব্যবসায়ী। ভারতে তার বিচার চলছে। অবশ্য, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।

ইতোমধ্যে কাপুরের মাধ্যমে পাওয়া আরও কিছু শিল্পকর্ম ফেরত দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার দ্য ক্যানবেরা গ্যালারি। এর মধ্যে হিন্দু দেবতা শিবের একটি মূর্তিও রয়েছে। ২০০৮ সালে মূর্তিটি কিনতে ৫০ লাখ ডলার খরচ করে অস্ট্রেলিয়া।  

ক্যানবেরার এমন সিদ্ধান্তকে শুভ ইচ্ছার ও বন্ধুত্বের অসাধারণ এক দৃষ্টান্ত বলে আখ্যায়িত করেছে অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশন।

অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল গ্যালারিতে থাকা বহু শিল্পকর্ম নিজেদের বলে দাবি করে ভারত। নানা সময় এসব শিল্পকর্ম চুরি, লুট বা অবৈধভাবে রপ্তানি হয়েছে বলে অভিযোগ করে দিল্লি।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন