৭ সিরিজ পর ঘরের মাঠে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হারলো বাংলাদেশ
দ্বিপাক্ষিক হোম সিরিজে ওয়ানডে ক্রিকেটে হারের তেতো স্বাদ ভুলেই গেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সবশেষ ৭টি সিরিজে একটিতেও কোন ভিনদেশি দল বাংলার মাটিতে এসে কাবু করতে পারেনি টাইগারদের। সময়টাও হিসাব করলে পাক্কা পাঁচ বছর।
প্রায় ৭ বছর আগেও সবশেষ বাংলাদেশ যখন নিজেদের ঘরের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজে হেরেছিল সেই দলটির নাম ছিল ইংল্যান্ড। ২০১৬ সালে ইংলিশদের বিপক্ষে সেই সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হারের আগে হিসাব করলেও ৬ সিরিজ পর হোম ভ্যানুতে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ।
আবারও বাংলাদেশের কালো অধ্যায় হয়ে ফিরে এলো সেই ইংলিশরাই। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে হেরে সিরিজ জিতে নিল ইংল্যান্ড।
বলতে গেলে গেল প্রায় ৮ বছরে বাংলাদেশ তাদের ঘরের মঠে খেলেছে ১৫টি সিরিজ। যার মধ্য জয় ১৩ টি। আর যে ২টি সিরিজ হেরে দুটিই ইংল্যান্ডের কাছে।
ওয়ানডে ক্রিকেটের বাঘা বাঘা দল ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ ওয়েস্টইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান সবাই বাংলার মাটিতে এসে পরাজয়ের স্বাদ নিয়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। অথচ ইংলিশদের কাছে টাইগাররা পরাজিত হচ্ছে বার বার।
আজ শুক্রবার (৩ মার্চ) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে টস জিতে বোলিংয়ে সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৫ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। তাসকিন আহমেদের বলে নাজমুল শান্তর তালুবন্ধি হন ফিলিপ সল্ট। এরপর ১১ রান করে বিদায় নেন গত ম্যাচের জয়ের নায়ক ডেভিড মালান এবং ৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন ভিন্স।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে জেসন রয় ও জস বাটলার মিলে ১০৯ রানের জুটি বড় সংগ্রের পথে নিয়ে যায় সফরকারীদের। ব্যক্তিগত ১৩২ রানের মাথায় সাকিবের শিকার হন রয়। ১ টি ছয় ও ১৮ টি চারে ১২৪ বল খেলে তিনি খেলেন এই বিদ্ধংসী ইনিংস। এরপর তাসকিনের বলে মাত্র ১ রান করে আউট হন উইল জ্যাকস। তখনো ব্যাট হাতে অবিচল বাটলার। তবে ৭৬ রানের মাথায় মিরাজের বলে আউট হন তিনি।
শেষ দিকে মঈন আলীর ৪২ এবং স্যাম কারানের ৩৩ রানে ইনিংসে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৩২৬ রানে পৌঁছায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিনের ৩ উইকেট ছাড়া মেহেদী মিরাজ নেন ২ উইকেট।
জবাবে খেলতে নেমে সেম কারানের প্রথম ওভারে দুই উইকেট হারায় টাইগাররা। দলীয় ১ রানে ওপেনার লিটন দাস ও গত ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফিরে যান। এরপর তৃতীয় ওভারে কারানের বলেই দলীয় ৯ রানের মাথায় মাত্র ৪ রান করে ফিরে যান মুশফিকুর রহিমও।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে এসে তামিম সাকিব মিলে চেষ্টা করেন ঘুরে দাঁড়াতে। দুজনে মিলে ৭৯ রানের জুটি গড়ার পর দলীয় ৮৮ ও ব্যক্তিগত ৩৫ রানে মঈন আলীর শিকার হন তামিম। ফলে ভেঙ্গে যায় ঘুরে দাঁড়ানোর জুটি।
তামিম ফিরে যাবার পর ৫৮ করে ফিরে যান সাকিবও। এরপর মাহমুদউল্লাহ ৩২, আফিফ হোসেন ২৩ ও তাসকিন আহমেদের ২১ রান ব্যাতীত আর কেউ তেমন রান তুলতে পারেনি। শেষপর্যন্ত ৪৪.৪ ওভার খেলে ১৯৪ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।