আবেদন পেলে খালেদা জিয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত : আইনমন্ত্রী
আবেদন পাওয়ার পর খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বললেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ রোববার (৫ মার্চ) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আগামী ২৪ মার্চ খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে, নতুন করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর কোনো আবেদন করা হয়েছে কিনা বা তাকে কারাগারে নেয়ার কোনো চিন্তা সরকারের আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এখনো কোনো আবেদন পাইনি। আবেদন পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেব।
উল্লেখ্য গেলো ২৪ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ (ষষ্ঠ দফা) ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। চলতি মাসের ২৩ মার্চ শেষ হচ্ছে তার মুক্তির মেয়াদকাল।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করে উচ্চ আদালত।
দুর্নীতির আরেক মামলায় ওই বছর ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয় একই আদালত।
২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে সরকার শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়। এরপর দফয়া দফায় মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ বাড়ানো মেয়াদ অনুসারে আগামী ২৩ মার্চ পর্যন্ত মুক্তিতে থাকবেন তিনি।
এর আগে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সরকারি মামলার বর্তমান অবস্থা জানার ট্র্যাকিং সিস্টেম সলট্র্যাক উদ্বোধন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে এবং সরকারি সেবা সহজিকরণের লক্ষ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ এই ট্র্যাকিং সিস্টেম তৈরি করে করে। এর মাধ্যমে সরকারের ৫৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, ৩৫৩টি অধিদপ্তর, ৮ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, ৬৪ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ সব সরকারি দপ্তর/সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন মামলার অবস্থা জানা যাবে।