আর্কাইভ থেকে আওয়ামী লীগ

বাঙালির প্রধান শত্রু হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা : কাদের

পহেলা বৈশাখের সাথে যাদের সংঘাত তারাই সাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করে। এই অশুভ অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা হচ্ছে পহেলা বৈশাখ। বাঙালির প্রধান শত্রু হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা। বিএনপির নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িকতার ডালপালা গজাচ্ছে। অশুভ শক্তির উৎপাটন করতে হবে। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অস্বীকারকারীরাই পহেলা বৈশাখ উদযাপন করে না।বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ উপলক্ষে রাজধানীর পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিতশোভাযাত্রার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদেরবলেন, বাঙ্গালির জাতীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্যের অংশ এই পহেলা বৈশাখ। বিলম্বে হলেও আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের জাতীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বৈশিষ্ট্য মন্ডিত দিন সেটা আজ স্বীকৃতি পাচ্ছে। সেটি বিশেষ করে বাংলাদেশের জন্য, বাঙ্গালীদের জন্য সুখবর।

সেতুমন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণের কারণে কয়েক বছর আমরা পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে পারি নাই। আজ আমরা বাংলার শেষ মুঘল সম্রাট বীর বাহাদুর শাহ জাফর পার্কে মঙ্গল শোভাযাত্রা উদযাপন করছি। পুরনো ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করে এখান থেকে শোভাযাত্রা বের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি বলেন, বাঙালির অতীত ইতিহাসের ঐতিহ্য যা কিছু আছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তার সঙ্গে এখনো যুক্ত আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। এই দিবস গুলো আমাদের অস্তিত্বের ঠিকানা। এই অনুষ্ঠান কে পালন করল, আর কে করল না তা নিয়ে আমাদের তাকানোর সময় নেই। যে চেতনায় আমরা বিশ্বাস করি, যে চেতনা আমাদের ইতিহাসে অংশ, আমরা যা বিশ্বাস করি তা আমরা উদযাপন করব।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এবার নতুন বার্তা নিয়ে এসেছে পহেলা বৈশাখ। আমাদের অর্থনৈতিক সংকট,  বিশ্ব অর্থনীতির সংকট, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলারের সংকট জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি এসব সমস্যায় আক্রান্ত তখন পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হচ্ছে। এরপরে ঈদের উৎসব। দু’টি উৎসবে গ্রামে শহরে বাণিজ্যিক লেনদেন, বেচাকেনা আমাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছি।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের অর্থনীতিতে যে সংগ্রাম চলছে অর্থনীতিকে যে সম্ভাবনার রূপ দিচ্ছে এই বাণিজ্যক লেনদেন আমাদের অর্থনৈতিক সংকটকে সম্ভাবনায় রুপ দিচ্ছে। এই দুই উৎসবে বাণিজ্যিক লেনদেন অর্থনৈতিক সংকটে প্রাণ সঞ্চার করবে। নতুন ধারা যোগ করবে।

ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য শেষেই শুরু হয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শোভাযাত্রা। নববর্ষ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি রাজধানীর বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে গিয়ে শেষ হয়।

শোভাযাত্রায় আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক ও কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল এমপি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামী ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন