আর্কাইভ থেকে আন্তর্জাতিক

যৌন হেনস্থা প্রমাণিত, ৫০ লাখ ডলার জরিমানা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

ধর্ষণ প্রমাণিত না হলেও এক নারী কলামিস্টকে যৌন হেনস্থা ও মানহানির প্রমাণ মিলায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। তাকে ৫০ লাখ ডলার জরিমানা করেছেন নিউইয়র্কের একটি আদালত। ই জিন ক্যারোল নামে ওই নারী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিলেন।

বুধবার (১০ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা ডয়েচে ভেলে’র এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যারলের অভিযোগ, ১৯৯৬ সালে তাকে ধর্ষণ করেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি প্রথম যখন একথা লিখেছিলেন, তখন ট্রাম্প তার মানহানি করেন। মঙ্গলবার (৯ মে) নিউইয়র্ক আদালতের জুরি তার সেই মানহানির অভিযোগ মেনে নিয়েছে। এরপরেই ট্রাম্পকে ৫০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেয়া হয়।

এদিন আদালত কক্ষে ট্রাম্পের আইনজীবী থাকলেও সাবেক প্রেসিডেন্ট নিজে উপস্থিত ছিলেন না। কী ঘটেছিল ক্যারল দাবি করেছেন, ১৯৯৬ সালে এক বান্ধবীর উপহার কেনার জন্য ট্রাম্প তাকে ডেকেছিলেন। তারা ম্যানহাটনের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে যান। সেখানে কথা বলতে বলতে ক্যারলকে নিয়ে হঠাৎ ট্রায়ালরুমে ঢুকে পড়েন ট্রাম্প এবং সেখানে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।

ক্যারল জানান, কোনোমতে ট্রাম্পকে ছাড়িয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে পড়েন এবং পালিয়ে যান। পরে এই পুরো ঘটনার কথাই তিনি লিখেছিলেন। কিন্তু ট্রাম্প প্রকাশ্যে তা মিথ্যা বলে দাবি করেন। ২০২২ সালে নিজের তৈরি সোশ্যাল নেটওয়ার্কেও একই কথা বলেছিলেন এ মার্কিন ধনকুবের।

৭৯ বছর বয়সী ক্যারলের আইনজীবী জানিয়েছেন, আদালতের সিদ্ধান্তে তারা খুশি। তবে ক্যারল কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।

ট্রাম্পও বিষয়টি নিয়ে এখনো মুখ খোলেননি। তবে তার আইনজীবী জানিয়েছেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল করবেন। আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ট্রাম্পকে ক্ষতিপূরণের অর্থ দিতে হচ্ছে না। বড় ধাক্কা সম্প্রতি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন ৭৬ বছর বয়সী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ অবস্থায় যৌন হেনস্থার দায়ে জরিমানা তার ভাবমূর্তির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও একটি ফৌজদারি মামলা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি এ ধরনের মামলার আসামি হয়েছেন।

অভিযোগ, সাবেক পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মুখ বন্ধ রাখার জন্য কয়েক মিলিয়ন ডলার ঘুস দিয়েছিলেন ট্রাম্প। স্টর্মিও তার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন। নির্বাচনের আগে মুখ বন্ধ করতে ওই অর্থ দেয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

এ মামলায় গ্রেপ্তারের পর বর্তমানে জামিনে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার মধ্যেই আরেকটি বড়সড় ধাক্কা হয়ে এলো এই জরিমানা।

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন