৪০ বছরেও দেখাবে ২৫-এর তরুণী
৩৫ পেরতেই মুখে বলিরেখা প্রকট হয়, ত্বকের টানটান ভাব হারিয়ে যায়। সঠিক সময়ে অ্যান্টি-এজিং স্কিনকেয়ার রুটিন মেনে ত্বকের পরিচর্যা করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে এই বিশেষ স্কিনকেয়ার রুটিন মানলে এই সমস্যায় পড়তে হয় না। এমন সুফল পেতে ২৪-২৮ বছরের মধ্যেই এ স্কিনকেয়ার রুটিন শুরু করা উচিত বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু ৪০ পেরলে ত্বকের প্রয়োজন বিশেষ যত্ন। যাতে আপনার লাবণ্যও অটুট থাকে। আপনাকে দেখে ২৫-এর তরুণী মনে হয়!
সঠিক স্কিনকেয়ার রুটিন স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের গোড়ার কথা। যে কোনও বয়সেই ত্বকের প্রকৃত যত্ন প্রয়োজন। সময়ের অভাবে যত্ন নেয়া হয় না অনেকের। পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল, দূষণ এবং ধুলো-ময়লায় ত্বকের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে আরও বেশি। তাই তো ৪০ পেরলে ত্বকের যত্নে কী ধরনের স্কিনকেয়ার রুটিন মেনে চলতে হবে, সেই নিয়ে আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ ডার্মাটোলজির তরফে এ বিষয়ে কিছু টিপস দেয়া হয়েছে। সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করুন সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মির প্রভাবে ত্বকের ক্ষতি হয়। UV রশ্মি ত্বকের জন্যে খুবই ক্ষতিকারক। ফটোএজিংয়ের জন্যে দায়ী। তাই রোদে বেরনোর আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগান। সানস্ক্রিন লোশন না লাগিয়ে বাইরে পা রাখবেন না।
মেঘলা দিনেও সানস্ক্রিন লাগান। সানস্ক্রিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে এসপিএফ ৩০ লোশন বেছে নিন। ময়শ্চারাইজার ভুলবেন না আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ ডার্মাটোলজির তথ্য অনুযায়ী, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ত্বক আরও রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে ওঠে। মুখে বলিরেখা প্রকট হয়। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে ময়শ্চারাইজার। আপনার ত্বককে আরও বেশি জেল্লাদার করে তোলে। তাই প্রতিদিন ফেসিয়াল ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। শরীরের অন্যান্য অংশেও ময়শ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না। স্বাস্থ্যকর খাবার এবং পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি ত্বক ভালো রাখার জন্যে নিজের জীবনশৈলীর দিকেও নজর দেয়া উচিত। তাই প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। অস্বাস্থ্যকর জাঙ্কফুড এবং প্রসসেড খাবার এড়িয়ে চলুন। শাক-সবজি খান। ফল থাক আপনার দৈনিক ডায়েটে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমও প্রয়োজন। ঘুমের মধ্যে আপনার শরীর নিজেকে রিপেয়ার করে। ঠিকঠাক ঘুম না হলে ত্বকেও তার প্রভাব পড়ে। অ্যান্টি-এজিং স্কিনকেয়ার রুটিন ফলো করুন রেটিনল, নিয়াসিনামাইড, আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড, ভিটামিন সি এবং এ আছে এমন স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে একটি অ্যান্টি-এজিং স্কিনকেয়ার রুটিন শুরু করুন। আপনার ত্বক ভালো থাকবে।