২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করা হবে : প্রধানমন্ত্রী
সরকারের মূল লক্ষ্য ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করা। এ লক্ষ্য অর্জনে গুণগত শিল্পায়নের পথে দেশ দ্রুত এগিয়ে চলছে। দেশীয় শিল্প কারখানায় বর্তমানে বিশ্বমানের পরিবেশবান্ধব শিল্পপণ্য উৎপাদিত হচ্ছে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল শুক্রবার (৯ জুন) ‘বিশ্ব এক্রেডিটেশন দিবস’ উপলক্ষ্যে আজ দেয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এর ফলে আমাদের রপ্তানি আয় বাড়ছে এবং জনগণের জীবনমান উন্নত হচ্ছে। এছাড়া জাতিসংঘ ঘোষিত ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-২০৩০’ অর্জনেও আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর। এ ধারা অব্যাহত রেখে আমরা অচিরেই শিল্পায়নের কাঙ্খিত গন্তব্যে পৌঁছে যেতে সক্ষম হব বলে আমি বিশ্বাস করি।’
তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশে ‘বিশ্ব এক্রেডিটেশন দিবস ২০২৩’ উদ্যাপন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ এক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) এর সকল অংশীজন এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘এক্রেডিটেশন : সাপোর্টিং দ্যা ফিউচার অব গ্লোবাল ট্রেড’- বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি আরও বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বাণিজ্য সম্পর্ক আস্থার ভিত্তিতে গড়ে ওঠে। সরবরাহ শৃংখল এর প্রতি পর্যায়ে পণ্য ও সেবার গুণগত মান নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে এ আস্থা অর্জিত হয়। এজন্য প্রয়োজন গুণগত মান ব্যবস্থাপনা, পরিমাপ, পরীক্ষণ এবং এক্রেডিটেশন এর সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় মান অবকাঠামো, যা বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যে কারিগরি বাধা অপসারণের মাধ্যমে রপ্তানি বাণিজ্যকে গতিশীল এবং সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র সৃষ্টি করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি আশা করেন, বিএবি জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন, জাতীয় মান অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সুসংহত এবং ভবিষ্যৎ বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আগামী দিনেও ইতিবাচক অবদান রাখবে। তিনি ‘বিশ্ব এক্রেডিটেশন দিবস ২০২৩’- এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
মেঘ