আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

কনকনে ঠাণ্ডায় জুবুথুবো পঞ্চগড়বাসী

রাত যত গভীর হয়, ততই যেন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির ফোটার মত কুয়াশায় জেঁকে বসছে শীত। দফায় দফায় আশা শৈত্যপ্রবাহ ইতিমধ্যে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে পুরো দেশজুড়ে। কনকনে বাতাস ও ঘন কুয়াশায় পঞ্চগড়ে তীব্র শীতে জনজীবন হয়ে পড়ছে বিপর্যস্ত। ভোরে সূর্যের দেখা মিললেও কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশে নিখোঁজ রয়েছে আলোর ঝলকানি। 

আজ মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে সড়ক-মহাসড়কে ছোট-বড় যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। দুর্ঘটনা এড়াতে রেলপথেও গতি কমেছে ট্রেনের। ঘন কুয়াশার কারণে ট্রেনের শিডিউল নড়বড়ের শঙ্কা রয়েছে। সকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলেই বাড়ছে শীতের তীব্রতা। চার দিন ধরে হিমেল বাতাস অব্যাহত থাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ছিন্নমূল মানুষেরা চরম বিপাকে পড়েছেন।

এদিকে, ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত রংপুরে ঘন কুয়াশার দাপটে সড়কে মানুষের উপস্থিতি কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মস্থল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উদ্দেশে বের হওয়া কর্মজীবী মানুষ ও শিক্ষার্থী অভিভাবকদের দেখা গেছে। তাদের কষ্ট বেড়েছে সড়কে নিত্য চলাচলের বাহন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কম থাকায়। 

রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মঙ্গলবার রংপুরে সকাল ৯টা পর্যন্ত তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া তেঁতুলিয়াতে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে সকাল পৌনে ১০টা পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। সোমবারের চেয়ে আজ তাপমাত্রা কমেছে সঙ্গে বাতাসে আর্দ্রতা বেড়েছে। কুয়াশার ঘনত্বও কমেনি।

তাসনিয়া রহমান 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন