মানুষের শরীরে শুকরের হৃদপিণ্ড!
বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের ডেভিড বেনেট, যার শরীরে শুকরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আলজাজিরা।গত শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে সফলভাবে এই হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হয়।
৫৭ বছরের ডেভিডই হলেন বিশ্বের প্রথম মানুষ, যার শরীরে সফলভাবে জিন পরিবর্তন করে শুকরের হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। জীবন মৃত্যুর মাঝামাঝি অবস্থায় এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল তাকে।
ইতিহাসের অংশ হয়ে যাওয়া পরীক্ষামূলক এই সার্জারিতে চিকিৎসকদের সময় লেগেছিল ৭ ঘণ্টা। অপারেশনের তিনদিন পর তিনি বেশ ভালো আছেন,জানান চিকিৎসকরা।
এদিকে ডেভিড বলেন, বেঁচে থাকার শেষ চেষ্টা হিসেবে নিজের শরীরে শুকরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনের এই সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি ছিল অনেকটা অন্ধকারে তীর নিক্ষেপ করা। এখন অপেক্ষা কেবল সুস্থ হয়ে বিছানা থেকে উঠে দাঁড়ানোর।
এই অস্ত্রোপচারের সঙ্গে যুক্ত এক চিকিৎসক জানান, যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে ১৭ জন মানুষ মারা যান অঙ্গপ্রতিস্থাপণ না করতে পারার কারণ। প্রায় এক লক্ষেরও বেশি মানুষ অপেক্ষার তালিকায় রয়েছেন। এই অস্ত্রোপচারের ফলে প্রতিস্থাপণযোগ্য অঙ্গের ঘাটতি মেটাতে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল চিকিৎসা বিজ্ঞান।
মানুষের শরীরে প্রাণীর অঙ্গপ্রতিস্থানের গবেষণা বেশ কিছু বছর ধরেই চলছে। ইতিমধ্যেই শুকরের হার্ট ভালব ব্যবহারে সাফল্য এসেছে। গত অক্টোবর মাসে চিকিৎকরা শুকরের কিডনি সফল ভাবে মানুষের শরীরের প্রতিস্থাপণ করতে সক্ষম হন। যদিও সেই ব্যক্তির মস্তিষ্কের মৃত্যু হয়েছে। ফলে তাঁর সুস্থ হয়ে ওঠার কোনও সম্ভবনা নেই। তবু প্রতিস্থাপণের ক্ষেত্রে সাফল্য বিজ্ঞানীদের মনে আশার আলো দেখিয়েছে।
অনন্যা চৈতী