আর্কাইভ থেকে জাতীয়

জাতীয় সংসদে পিপিপি (সংশোধন) বিল পাস

জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ সরকারি-বেসরকারি (পিপিপি) অংশীদারিত্ব (সংশোধন) বিল, ২০২৩ পাস হয়েছে। আর্থিক ও প্রশাসনিক অনুশীলনে দেশের সরকারি-বেসরকারি (পিপিপি) কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় বড় পরিবর্তন আনতে সংসদে এই বিল পাস করা হয়েছে। সংসদ কার্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক আজ সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন এবং স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে কণ্ঠভোটে এটি পাস হয়। বিদ্যমান আইনে বলা হয়েছে যে, পিপিপি কর্তৃপক্ষ আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রয়োগ এবং কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ও স্বাধীন হবে। কিন্তু সংশোধিত আইনে স্বাধীন শব্দটি বাদ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) অ্যাক্ট, ২০১৫, জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি অবকাঠামো নির্মাণের লক্ষ্যে স্থানীয় ও বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ করে বেসরকারি খাতের সাথে একটি অংশীদারিত্ব তৈরি করতে প্রণীত হয়েছিল। সংশোধনীতে পিপিপি কর্তৃপক্ষের চেয়ারপার্সনের অনুপস্থিতিতে ভাইস-চেয়ারপার্সনের যেকোনো সভায় সভাপতিত্ব করার বিধান করা হয়েছে এবং প্রতি বছর সভার সংখ্যা হবে কমপক্ষে দুইটি। বিলে সাংগঠনিক কাঠামো অনুমোদনের ক্ষমতা বোর্ড অব গভর্নরস এর পরিবর্তে সরকারের উপর ন্যস্ত করা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন