ডেঙ্গু আক্রান্তদের মুগদায় আনতে মানা করল স্বাস্থ্য অধিদফতর
সারা দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়ায় সেবা দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এখন সবচেয়ে বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতালটির এক বেডে ২ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। সেখানে নতুন কোনো ডেঙ্গু রোগীকে আর ভর্তি করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) আহমেদুল কবীর।
বুধবার (২৬ জুলাই) ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।
আহমেদুল কবীর জানান, ঢাকার বাহিরে ডেঙ্গু ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। সচেতনতা ছাড়া এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের কোনো উপায় নেই। ডেঙ্গুকে আগে মেডিকেল প্রবলেম হিসেবে বলা হলেও জেঙ্গুকে বর্তমানে ইনভাইরনমেন্টাল প্রবলেম হিসেবে ধরা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, সবশেষ মঙ্গলবার সারা দেশে মোট ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ২৪১৮ জন। এ ছাড়া ডেঙ্গতে আরও ১৬ জন মারা গেছেন। বর্তমানে হাসপাতালে মোট ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৭৯২৭ জন।
আহমেদুল কবির বলেন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আর ডেঙ্গু রোগী নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। মুগদায় এক বেডে ২ জন রোগী রোগী রয়েছে, ৩টি রোগী নেয়া সম্ভব না। মুগদায় ৬০০ এর ওপর ডেঙ্গু রোগী ভর্তি সেখানে নতুন করে আর বেড দেয়াও সম্ভব না।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় চিকিৎসকরা হিমশিম খাচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে ডেঙ্গু রোগীদের সেবা দেয়ার মতো পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই। ফলে আমরা নতুন আরও চিকিৎসক নিচ্ছি। তবুও রোগীদের সামাল দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা চেষ্টা করছি।
যারা চিকিৎসা নিতে আসছেন তাদের আরও ধৈর্যশীল হতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, চিকিৎসকরা ডেঙ্গু রোগীদের জন্য দিনরাত এক করে কাজ করছেন। তাও যদি তাদের ওপর জো়র খাটানো হয়, তাদের আঘাত করা হয় তবে এটা অতন্ত গর্হিত কাজ। চিকিৎসকদের ওপর হামলা হলে বা আঘাত হলে তারা আরও কাজ করতে পারবেন না।
তিনি বলেন, আমরা আরও বেড দেয়ার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন হাসপাতালে আমরা বেড বৃদ্ধি করছি। আমাদের আরও ২৫০০ বেড তৈরি আছে। ডিএনসিসিতে ৮০০ নতুন বেড দেয়া হচ্ছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও ১৫০ বেডসহ বিভিন্ন জায়গায় বেড বাড়ানো হয়েছে। তবে মুগদায় নতুন করে আর বেড দেয়া সম্ভব না।
তিনি আরও বলেন, সারা দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ডেঙ্গু হলেই ঢাকামুখী হওয়ার প্রবণতা থেকে আমাদের বেড়িয়ে আসতে হবে। সবাই যদি ঢাকায় এসে পড়ে তবে এখানে একটা ক্রাইসিস তৈরি হবে। আর এক্ষেত্রে রোগীদেরও বেগ পোহাতে হবে।