পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সম্মিলিত পাসের হার ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গত বছর ছিল ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। অন্যদিকে এবার মোট এক লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। গতবার দুই লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। ফলে এবার এসএসসি ও সমমানে পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে। এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আজ শুক্রবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এসএসসি ও সমমানের ফলাফল প্রকাশের সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত বছর বা এর আগের বছরে যারা পরীক্ষা দিয়েছে, তারা তো আর পূর্ণ নম্বরে পরীক্ষা দেয়নি। তারা অল্প নম্বরে, অল্প বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছে, সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা দিয়েছে। কাজেই খুব স্বাভাবিকভাবে সেই সময়ে পরীক্ষার পাসের হারটা অনেক বেশি ছিল। আপনি যদি তিন বা চারটি বিষয়ে পরীক্ষা দেন; আপনি এখন ১০টি বিষয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন, পুরো ১০০ নম্বরে পরীক্ষা দিচ্ছেন। সেখানে আগেরবার তারা খুব কম নম্বরে পরীক্ষা দিয়েছে, কম বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাদরাসা ও কারিগরি বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, আন্তঃবোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকারসহ সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা ৩০ এপ্রিল শুরু হয়। এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ এবং ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন ছাত্রী। এ বছর মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট কেন্দ্র ৩ হাজার ৮১০টি এবং মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২৯ হাজার ৭৯৮টি। এরমধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে কেন্দ্র ২ হাজার ২৪৪ টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৭ হাজার ৭৮৬টি। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে মোট কেন্দ্র ৭১৬টি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ৮৫টি। কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে মোট কেন্দ্র ৮৫০টি এবং মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২ হাজার ৯২৭টি। এবার মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২০৭টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ২০টি। এবছর পূর্নবিন্যাসকৃত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।