নোংরা মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব স্বস্তিকা
বরাবরই ঠোঁটকাটা স্বভাবের তিনি। উচিত কথা বলতে কখনোই পিছপা হন না টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। এবার দিল্লিতে জাতীয় মহিলা কমিশনের মঞ্চে নারীদের সাইবার বুলিংয়ের শিকার হওয়া নিয়ে সরব হলেন অভিনেত্রী।
মেয়েদের স্কার্টের ঝুল মাপা, ব্লাউজের গভীরতা মাপা থেকে শুরু করে শাড়ি আঁচল সরে গিয়ে কেন নাভির অংশ বেরোলো? বক্ষ বিভাজিকা উঁকি দিল? নেটজনতাদের আতশ কাচ যেন তৈরিই থাকে সব সময়ে! আর তার প্রভাবও স্পষ্ট পরিলক্ষিত হয় ছবির কমেন্ট বক্সে। একের পর এক অশালীন, কদর্য মন্তব্য উপচে পড়ে! কেউ প্রতিবাদ করে আবার কেউ বা এড়িয়ে যায়। কিন্তু তাতে কি আদৌ সমস্যার সমাধান হবে? আর প্রোফাইল ব্লক, রিপোর্ট করেই বা কতদিন চলবে! সেই প্রসঙ্গেই এবার জাতীয় মহিলা কমিশনে সরব হলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
জাতীয় মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে বাংলা থেকে একমাত্র ডাক পেয়েছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ই। ইনস্টাগ্রামে সেই ছবি শেয়ার করে অভিনেত্রী লেখেন, ‘জাতীয় মহিলা কমিশন থেকে রোজ রোজ কেউ ডাক পান না। সম্প্রতি সাইবার নিরাপত্তা এবং ডিজিটাল এমপাওয়ারমেন্ট নিয়ে যে সেমিনারের আয়োজন হয়েছিল, সেখানে প্যানেলিস্ট হিসেবে যোগ দিয়েছিলাম। বাংলায় এত বক্তা থাকতে একমাত্র আমিই ডাক পেয়েছি। আমি যেটা বিশ্বাস করি সেখানে সেই কথাই বলে এসেছি। ভুয়া নাম নিয়ে প্রোফাইল খোলা সেসব ট্রোলাররা আদতে কাপুরুষ ছাড়া কিছু নয়। নিজেদের লজ্জা দূরে সরিয়ে রেখে এবার আমাদের সময় এসেছে ওদের শিক্ষা দেয়ার। আমাদের নিরাপত্তা আমাদের হাতেই।’
স্বস্তিকা বললেন, ‘আমি যেটা বিশ্বাস করি, সেটাই বললাম। যারা ট্রোল করেন, তারা সবসময় ভুয়ো নামের আড়ালে থাকেন। এদের প্রোফাইল সঠিক হয় না।’
সাদা কালো শাড়ি পড়ে বাঙালি সেজে হাজির হলেন তিনি। নিজের বক্তব্য রাখার পর সকলের মন জিতে নিলেন। সিনেমার প্রমোশনের সঙ্গে সঙ্গে তিনি পথ কুকুরদের নিয়েও কাজ করেন। এর আগেও, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার কাছে জানিয়েছিলেন, তিনি করোনা মহামারীর সময়ে অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের থেকে বেশি কাজ করেছিলেন।
মাঝেমধ্যেই স্বস্তিকা নিজেও নেটপাড়ায় এই সব নোংরা মন্তব্যের শিকার হন। পালটা দিতেও ছাড়েন না স্পষ্টভাষী অভিনেত্রী। রুখে না দাঁড়ালে এ ঘটনার যে পুনরাবৃত্তি ঘটতেই থাকবে, তা উপলব্ধি করতে পেরেই এবার জাতীয় মহিলা কমিশনে আওয়াজ তুললেন স্বস্তিকা।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস