আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

জগন্নাথপুরে লেবুর বাম্পার ফলন, দামে হতাশ চাষি!

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে লেবুর ভালো ফলন হয়েছে। ভালো ফলন হলেও বাজারে দাম কম থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে বাগান মালিকের। স্থানীয় বাজার সহ অন্যান্য বাজারেও লেবুর চাহিদা ও দাম কম। এতে হতাশ লেবুর বাগান করা চাষি।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, রানীগঞ্জ ইউনিয়নের আছিমপুর গ্রামের কৃষক মুছলিম উল্লাহ দুই ছেলে দুই মেয়ের মেয়ের সংসার, দুই ছেলে সৌদি আরবে থাকেন। সেখানে তার ছেলের বন্ধু ঢাঙ্গাইলের গ্রামের বাড়িতে লেবু চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছে। তার বন্ধুর উৎসাহের কৃষক মুছলিম উল্লাহ ছেলে তার বাবাকে লেবুর বাগান করতে আগ্রহ দেখায়। তার ছেলের কথা মত কৃষক মুছলিম উল্লাহ প্রায় ৯০ শতক জায়গা উপর ৭০০শত চারা দিয়ে শুরু করেন লেবুর বাগান। ৪বছর পর লেবুর ভালো ফলনও হয়েছে। ভালো ফলন হওয়ায় চাষি খুশি হলেও বাজারে দাম কম থাকায় পড়েছেন লোকসানে। এলাকার হাটবাজারে ছোট ও বড় লেবু লেবু ১ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। স্থানীয় বাজারেসহ অন্যান্য বাজারেও লেবুর চাহিদা নেই।

এ ব্যাপারে কৃষক মুসলিম উল্লা জানান, আমার এই জমিতে চারা রোপণ সহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেছি, আমার ছেলের কথামতো ধান ও সবজি চাষ বাদ দিয়ে লেবুর বাগান করি। আজ ৪বছর হল লেবুর বাগানে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছি। লাভের আশা থাকলেও এখন লোকসান হচ্ছে। আশের পাশের কয়েকটি বাজারে লেবু নিয়ে ১০০টি লেবু একশত টাকা বলে কোন সময় আরো কম দাম বলে। এখন অসহায় হয়ে অল্প দামে লেবু গুলো বিক্রয় করে যাচ্ছি। লেবুর চাহিদা নেই, দামও কম। লেবু চাষে কোনো লাভ হয়নি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ জানান, আমি শুনেছি আছিমপুর গ্রামে লেবুর বাগান করেছেন। প্রথমে থাকে ধন্যবাদ জানাই। লেবু দাম কমবেশি হতে পারে আমরা দেখেছি রমজান মাসে একটি লেবুর দাম ২০টাকা ছিল। আসলে কৃষক যদি বাজারে লিংক আপ করে বিক্রয় করতে পারেন তাহলে ভাল দাম পাবেন। এ ব্যাপারে আমাদের কৃষি সম্পসারন অধিদপ্তর বাজার ধরের ব্যাপারে আলাদা ডিপার্টমেন্ট আছে তাদের কে দিয়ে সহযোগিতা করা  হবে। আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা দিয়ে থাকি, সেখান থেকে এই কৃষককে সহযোগিতা করা হবে।

এএম/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন