আর্কাইভ থেকে ক্যাম্পাস

২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা স্বচক্ষে দেখেছি, ইবি ভিসি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেছেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধানদের প্রত্যক্ষ মদদে আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল। সেদিনের সেই ভায়াবহ গ্রেনেড হামলা আমি স্বচক্ষে দেখেছি। যা ভাবতে গেলে আজও বুক কেঁপে উঠে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ যেন এদেশে আর বাস্তবায়ন না হতে পারে সেজন্য সেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। বিরোধীশক্তি দেশকে গলাটিপে হত্যা করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছিল। তারা দেশকে তালেবান বানাতে চেয়েছিল।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব মুর‌্যালে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভায় এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে মুজিব আদর্শের সকল সৈনিকদের এক এবং ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ আহ্বান জানান। এর আগে ক্যাম্পাসের প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে প্রতিবাদ র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিট, শাপলা ফোরাম ও শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা র‌্যালিতে অংশ নেন ও পৃথকভাবে সংগঠনের ব্যানাওে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন অংশ নেন। এছাড়া শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এসময় ২১ আগস্টে নিহত ব্যক্তিবর্গের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, প্রক্টর ও দিবসটির উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়সহ বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন