জিয়া, এরশাদ-খালেদা মুলা ঝুলিয়ে রেখেছিল : তথ্যমন্ত্রী
জিয়া, এরশাদ-খালেদা কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতির কথা বলে মুলা ঝুলিয়ে রেখেছিলো, কিন্তু স্বীকৃতি দেইনি। আজকে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি হয়েছে। তাদের এখন সরকারি চাকুরিও হচ্ছে। বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষে আঞ্জুমানে রহমানীয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আয়োজনে 'আন্তর্জাতিক শান্তি মহাসমাবেশে' এসব কথা বলেন তিনি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ইসলামি শিক্ষার প্রসারে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি অন্য কেউ দেইনি এবং ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ও অন্য কেউ প্রতিষ্ঠা করেনি, জেলা-উপজেলায় মসজিদ-মক্তব নির্মাণ করে ইমাম-প্রশিক্ষকদের বেতন-ভাতা অন্য কোন সরকার দেইনি, বঙ্গবন্ধুকন্যা ও তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার এসব বাস্তবায়ন করেছে। আমাদের সরকার সমগ্র বাংলাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ করে দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, দেশে প্রায় এক লাখ বিশ হাজার মসজিদ ভিত্তিক মক্তব প্রতিষ্ঠা, প্রতিটি মক্তবের শিক্ষককে মাসে ৫ হাজার ২০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া, ২০ হাজার দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা দেওয়া বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নিজ উদ্যোগে চালু করেছেন।”
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'দেশে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। অনেকে ভোট বানচালের চক্রান্ত করছে। হামিদ কারজাই মার্কা সরকার গঠনের চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হবে না। বিএনপি-জামায়াত যতই চেষ্টা করুক নির্বাচন থামাতে পারবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার দিকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের এই নেতা প্রশ্ন রেখে বলেন, ইসরায়েল ও বিশ্বের মানবতা লঙ্ঘনকারী অন্যান্য দেশের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা না দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা কেন?
জামায়াত অলি আউলিয়ার বিরুদ্ধে ফতোয়া দেয় উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, এরা ইসলামে ফেতনা সৃষ্টি করছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বলেছিল আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে মসজিদে আযান বন্ধ হয়ে যাবে। অথচ আওয়ামী লীগের আমলে দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ তৈরি হয়েছে।