খালেদা জিয়া চাইলে আপিল বিভাগে যেতে পারেন : অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল
উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আপিল বিভাগে আবেদন করতে পারেন। তবে তার আগে তাকে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জেলে যেতে হবে। বলেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী।
সোমবার (২ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
মেহেদী হাছান চৌধুরী বলেন, যেহেতু ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার আলোকে আবেদনটিতে আগেই খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করা হয়েছিল। একারণে আর কোনো সুযোগ নেই অন্য কোনো আদেশ দেয়ার। এখন তাকে আত্মসমর্পণ করে কারাগারে যেতে হবে এবং জেলখানায় যাওয়ার পরে তিনি জামিন আবেদন এবং বিদেশে চিকিৎসার জন্য আপিল বিভাগে আবেদন করতে পারেন। কারণ সাজার বিরুদ্ধে তার আপিল পেন্ডিং রয়েছে। এছাড়া খালেদা জিয়া তার দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছেও আবেদন করতে পারেন।
এর আগে ভয়েস অব আমেরিকার শতরূপা বড়ুয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করাতে হলে তাকে আদালতে গিয়ে আবেদন করতে হবে। আদালত যদি অনুমতি দেন তাহলে তিনি বিদেশে যেতে পারবেন।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নয় বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। এ জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করাতে চান তারা। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমি জিজ্ঞেস করি, পৃথিবীর কোন দেশ সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে পেরেছে। পৃথিবীর কোনো দেশ দেবে? তাদের (বিএনপি) যদি চাইতে হয় তাহলে আবার আদালতে যেতে হবে। আদালতের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এখানে আদালতের কাজের ওপর আমাদের হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগ নেই।’
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে কারাবন্দি তিনি। পরে হাইকোর্টে এ সাজা বেড়ে ১০ বছর হয়। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আরও সাত বছরের সাজা হয়।
২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে। এরপর প্রতি ছয় মাস পরপর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার। সবশেষ ১২ সেপ্টেম্বর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়।