অর্থ জালিয়াতি মামলায় বিচার শুরু হয়েছে ট্রাম্পের
আর্থিক জালিয়াতির মামলায় নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটানের আদালতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার (২ অক্টোবর) তিনি আদালতে হাজির হলে শুনানি শুরু হয়। বছরের পর বছর ধরে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জালিয়াতি করার অভিযোগ করা হয়েছে এ মামলায়।
ট্রাম্প ছাড়াও তার ছেলেদের এবং ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে। মামলায় ট্রাম্পকে ২৫ কোটি ডলার জরিমানা এবং নিজ রাজ্যে ব্যবসা করার ওপর নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেছেন নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল।
মামলায় আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মামলাকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, সোমবার শুনানির প্রথম দিন ট্রাম্পকে কিছু কথা বলেন বিচারক। তিনি বলেন, অন্যসব মামলার মতো এ মামলাতেও আমি নিরপেক্ষ থাকব। এটিই আমার দায়িত্ব। কেউই আইনের উর্ধ্বে নয়।
এর আগে গেলো সপ্তাহে ট্রাম্পকে প্রতারণার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেন নিউ ইয়র্কের আদালত। মঙ্গলবার এ রায় দিয়েছেন নিউইয়র্কের সিভিল কোর্টের বিচারপতি আর্থার এনগোরন।
রায়ে বলা হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রতিষ্ঠান তাদের সম্পদের অতিরঞ্জিত হিসাব প্রকাশ করেছেন এবং নেট সম্পদ জালিয়াতির মাধ্যমে বেশি দেখিয়ে ব্যাংক, ইনস্যুরেন্স ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে প্রতারিত করেছেন। এসব করার মাধ্যমে ট্রাম্প ও তার প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন চুক্তি করেছেন এবং ঋণ নিয়েছেন।
এ মামলায় ট্রাম্পের পাশাপাশি তার তিন সন্তান ডোনাল্ড জুনিয়র, ইভাঙ্কা ট্রাম্প ও এরিক ট্রাম্পকেও আসামি করা হয়। এ ছাড়া মামলায় ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের দুই নির্বাহী অ্যালেন ওয়েইসেলবার্গ এবং জেফরি ম্যাককনিকেও আসামি করা হয়েছে।
এর আগে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প এবং ট্রাম্প সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন স্টেট অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিটিয়া জেমস। তার দাবি আয় সম্পর্কে এক দশক ধরে মিথ্যা বলেছেন ট্রাম্প। সেসময় বলা হয়, ব্যাংক ঋণ, বীমা এবং অন্যান্য আর্থিক সুবিধা পেতে সম্পদের মূল্য ২ দশমিক দুই তিন থেকে ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে দেখিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এসি//