আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

বিক্ষোভে রাস্তায় নেমেছে খেরসনবাসী

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান আগ্রাসনের ১১তম দিনে রুশদের হামলা অব্যাহত রয়েছে। ইউক্রেনে খেরসন এখন রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। গেলো শনিবার (৬ মার্চ) রুশ দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন হাজারো ইউক্রেনীয়।

রাস্তায় নামে দুই হাজারের বেশি মানুষ। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ইউক্রেনের পতাকা হাতে জাতীয় সংগীত গাইতে থাকে। রুশ সেনাদের বাড়ি ফিরে যেতে বলে শ্লোগান দিতে থাকে তারা। সূত্র: বিবিসি

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, এসময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি ছুড়েছে সেনারা।

এদিকে, খেরসনের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর শহরজুড়ে চেকপয়েন্ট বসিয়েছে রুশ বাহিনী। 

জানা যায়, রুশ সেনারা ইউক্রেনীয় বিক্ষোভকারীদের তালিকা করছে এবং তাদের গ্রেপ্তারের পরিকল্পনা নিয়েছে।

অন্যদিকে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পর থেকে নতুন করে শরণার্থীর ঢল নেমেছে ইউরোপে। জাতিসংঘের তথ্য মতে যুদ্ধে এ পর্যন্ত ১২ লাখ ইউক্রেনবাসি পাড়ি জমিয়েছেন প্রতিবেশি দেশগুলোতে। এর মধ্যে ৫ লাখই শিশু।

শরণার্থীদের মধ্যে অধিকাংশই পাড়ি জমিয়েছে পোল্যান্ডে। এছাড়া হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, মলডোভা, স্লোভাকিয়া ঢুকছে অসংখ্য মানুষ। শরণার্থীদের আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করলেও ঢল সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে মলডোভা। এই মুহূর্তে দেশটিতে জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ সহায়তা দরকার।

জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার হাই কমিশনার, ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি জানিয়েছেন, মলডোভার সরকার শরণার্থীদের সেবায় কোনো ত্রুটি রাখছে না। তবে এই ঢল সামলাতে তাদের সহায়তার প্রয়োজন। মলডোভা বেশ ছোট একটি দেশ।

তিনি আরো বলেন, সরকারকে বলেছি যদি শরণার্থী অন্য দেশে স্থানান্তরের প্রয়োজন পড়ে তবে জাতিসংঘ এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সহায়তা করবে।

উল্লেখ্য, গেলো বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামরিক অভিযান ঘোষণার কয়েক মিনিট পরেই ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে।

তাসনিয়া রহমান

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন