আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলেন যারা

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের একমাত্র রাষ্ট্রীয় ও সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র পুরস্কার হচ্ছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ২০২০ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

বুধবার (২৩ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২০ তুলে দেয়া হয়েছে। ভার্চুয়ালি যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

জাতির পিতা ও হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্রটি শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার পায়। 
বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড নির্মিত সৈয়দ আশিক রহমান প্রযোজিত প্রামাণ্যচিত্রটি গবেষণা, চিত্রনাট্য, আবহসংগীত ও পরিচালনা করেছেন সৈয়দ সাবাব আলী আরজু।

এবার মোট ২৭টি বিভাগে ৩০টি পুরস্কার দেয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ ১১টি পুরস্কার পেয়েছে সরকারি অনুদানে নির্মিত ইমপ্রেস টেলিফিল্মের সিনেমা ‘গোর’। আর একই সিনেমার জন্য ব্যক্তি হিসেবে সর্বোচ্চ ৪টি পুরস্কার পেলেন গাজী রাকায়েত।

আজীবন সম্মাননা গ্রহণ করেছেন অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ। তবে যৌথভাবে আজীবন সম্মাননা পাওয়া বর্ষীয়ান অভিনেত্রী আনোয়ারা সশরীরে উপস্থিত হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করতে পারেননি। তার পক্ষে এটি গ্রহণ করেছেন তার মেয়ে অভিনেত্রী। 

শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র: বিশ্বসুন্দরী এবং গোর (যৌথভাবে)

শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক: গাজী রাকায়েত হোসেন (গোর)

শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী: দীপান্বিতা মার্টিন (গোর)

শ্রেষ্ঠ অভিনেতা: সিয়াম আহমেদ (বিশ্বসুন্দরী)

শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা: এম ফজলুর রহমান বাবু (বিশ্বসুন্দরী)

শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী: অপর্ণা ঘোষ (গণ্ডি)

শ্রেষ্ঠ খল-অভিনেতা: মো. সাহিদ হাসান মিশা সওদাগর (বীর)

শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী: মুগ্ধতা মোরশেদ ঋদ্ধি (গণ্ডি)

শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার: মো. শাহাদৎ হাসান বাধন (আড়ং)

শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক: বেলাল খান (বিশ্বাস যদি যায়রে…)

শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক: প্রয়াত মো. সহিদুর রহামান (তুই কি আমার হবিরে…[বিশ্বসুন্দরী])

শ্রেষ্ঠ গায়ক: মো. মাহমুদুল হক ইমরান (তুই কি আমার হবিরে…[বিশ্বসুন্দরী])

শ্রেষ্ঠ গায়িকা: দিলশাদ নাহার কণা (তুই কি আমার হবিরে…[বিশ্বসুন্দরী]) এবং সোমনূর মনির কোনাল (ভালোবাসার মানুষ তুমি… বীর)

শ্রেষ্ঠ গীতিকার: কবির বকুল (তুই কি আমার হবিরে…[বিশ্বসুন্দরী])

শ্রেষ্ঠ সুরকার: মো. মাহমুদুল হক ইমরান (তুই কি আমার হবিরে…[বিশ্বসুন্দরী])

শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার: গাজী রাকায়েত হোসেন (গোর)

শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার:গাজী রাকায়েত হোসেন (গোর)

শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা: ফাখরুল আরেফীন খান (গণ্ডি)

শ্রেষ্ঠ সম্পাদক: মো. শরিফুল ইসলাম (গোর)

শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক: উত্তম কুমার গুহ (গোর)

শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক: পংকজ পালিত ও মো. মাহবুব উল্লাহ (নিয়াজ) [গোর]

শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক: কাজী সেলিম আহম্মেদ (গোর)

শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজ-সজ্জা: এনামতারা বেগম (গোর)

শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান: মোহাম্মদ আলী বাবুল

প্রথম ১৯৭৫ সালে পুরস্কারটি প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ সরকার চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশ ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ব্যক্তিবিশেষকে এবং শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্রকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করে থাকে। ১৯৭৫ সাল থেকে, ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ একটি বড় ইভেন্ট যা বর্ণাঢ্য কর্মসূচি, নৃত্য ও সঙ্গীতের মাধ্যমে প্রতি বছর আয়োজন করা হয়।

তাসনিয়া রহমান

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন