আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ছেলের বাল্যবিয়ে দিলেন স্কুলশিক্ষিকা মা

দশম শ্রেণীর ছাত্রের সঙ্গে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর বাল্যবিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।  

গেলো ২০ মার্চ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ছোটশলুয়া গ্রামের বিলপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, এ দিন সদর উপজেলার বিলপাড়া গ্রামের আসোক আলীর মেয়ের সঙ্গে সহকারী শিক্ষিকা শামসুন্নাহার তার দশম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলের বিয়ে দেন। প্রথমে কয়েকদিন বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখা হলেও পরে স্ত্রীকে নিয়ে শামসুন্নাহারের ছেলে শ্বশুরবাড়ি গেলে জানাজানি হয় এ ঘটনা।

বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শামসুন্নাহার তার ছেলের বাল্যবিয়ে দেয়ার বিষয়ে জানান, তার মায়ের শরীর খুব অসুস্থ। মায়ের ইচ্ছা নাতি ছেলের বউ দেখার। মূলত তার ইচ্ছা পূরণের জন্যই ছেলের বিয়ে দিয়েছেন। তবে বর-কনের বয়স কম হওয়ায় বিয়ের কাবিন হয়নি। বেগমপুর দাখিল মাদরাসার শিক্ষক ও বেগমপুর ইউনিয়নের কাজি মফিজুল ইসলাম ধর্মীয়-রীতি মেনে বিয়ে দিয়েছেন।

বাল্যবিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে কাজি মফিজুল ইসলাম জানান, তিনি কোন বাল্যবিয়ে পড়াননি। বর ও কনের সঠিক কাগজপত্র যাচাই করেই তিনি বিয়ে পড়ান। তার রেজিস্ট্রারে কোন বাল্যবিয়ে নেই।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামীম ভুইয়া জানান, বাল্যবিয়ের এ বিষয়টি সম্পর্কে এখনো কিছু জানা নেই তার। তবে সত্যতা পেলে তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে বেগমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদে বলেন, এ বিষয়ে তিনি এখনো কিছু জানেন না। তবে একজন স্কুলশিক্ষিকা যদি এমনটা করে থাকেন তাহলে তা ঠিক হয়নি।

অনন্যা চৈতী

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন