ন্যূনতম মজুরি প্রত্যাখ্যান, শুক্রবার শ্রমিকদের বিক্ষোভ
তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে মজুরি বোর্ডের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছেন শ্রমিকরা। তারা ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করার দাবি পুনর্বিবেচনা করার আহবান জানান। পাশাপাশি যৌক্তিক দাবি পূরণ না করার প্রতিবাদে আসছে শুক্রবার(১০ নভেম্বর) সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন পোশাক শিল্পে নিয়োজিত এসব শ্রমিকেরা।
গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি শ্রমিকনেতা অ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলন—এর ব্যানারে মজুরি প্রত্যাখ্যান ও পুনর্বিবেচনার দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে আসছে শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার গণমাধ্যমকে বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা করার ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করছি। মজুরি বাড়ানোর জন্য আমাদের দাবি সরকারকে পুনর্বিবেচনার আহবান জানাচ্ছি।
বিক্ষোভের ডাক প্রসঙ্গে এই শ্রমিক নেত্রী আরো বলেন, মজুরি বৃদ্ধির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১১ সংগঠন নিয়ে গঠিত হয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলন প্লাটফর্ম। এ প্লাটফর্মের মাধ্যমে আগামী শুক্রবার প্রতিবাদ সমাবেশ করবো।
অপরদিকে, সরকারপক্ষের শ্রমিক সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী পোশাক শ্রমিকদের জন্য এই মজুবি বৃদ্ধিতে সমর্থন দিয়েছেন। তারপরও আমরা চেষ্টা করব এটাকে আরও বৃদ্ধি করার।
এর আগে, মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে মজুরি বোর্ডের সভায় পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় নিম্নতম মজুরি বোর্ডের কার্যালয়ে দুপুরে পোশাক খাতের জন্য গঠিত নিম্নতম মজুরি বোর্ডের ষষ্ঠ সভায় মালিকপক্ষ ১২ হাজার ৫০০ টাকার ন্যূনতম মজুরির প্রস্তাব করে। পরে নিম্নতম মজুরি বোর্ড সেটিকেই চূড়ান্ত করে।
পরে সচিবালয়ে বিকেল সাড়ে ৩টার পর সংবাদ সম্মেলন করে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান। এ সময় অন্যদের মধ্যে ‘নিম্নতম মজুরি বোর্ড’ চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা, বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইর সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান, বিজিএমইর সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, মজুরি বোর্ডে শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।