আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

রেলপথ মন্ত্রীর প্রয়াত সহধর্মিনীর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

রেলপথ মন্ত্রী ও পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আলহাজ মো.নূরুল ইসলাম সুজন এমপি মহোদয়ের প্রয়াত সহধর্মিণী নিলুফার ইসলাম এর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) জুম্মার নামাজের পর মন্ত্রীর মহাজন পাড়াস্থ বাসভবনে পারিবারিক ভাবে দোয়া মহফিল অনুষ্ঠিত হয়।দোয়া মাহফিলে রেলপথ মন্ত্রী, তার ছেলে, পঞ্চগড়-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী নাঈমুজ্জামান ভূইয়া মুক্তা, পরিবারের সদস্যগণ, আত্মীয়-স্বজনগণ, সমাজের মানুষ এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব পর্যায়ের কয়েকজন নেতৃ বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মিলাদ মহফিল শেষে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এসময় মন্ত্রী মহোদয়ের প্রয়াত সহধর্মিণী নিলুফার ইসলাম, তার বড় ভাই প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম সহ পরিবারের প্রয়াত সকল সদস্য, প্রয়াত সকল আত্মীয়-স্বজন, প্রয়াত সকল মুসলিম উম্মা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ১৫ আগস্টে নিহত বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সকল শহিদ, স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত সহ শহিদ, বায়ান্নর সকল ভাষা শহিদ এবং প্রয়াত সকল আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মোনাজাত করা হয়। তার প্রয়াত সহধর্মিনীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মন্ত্রী মহোদয় শুক্রবার একদিনের জন্য তার নির্বাচনী সকল কার্যক্রম বন্ধ রেখেছন।

উল্লেখ্য রেলপথ মন্ত্রী ও পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আলহাজ মো.নূরুল ইসলাম সুজন এমপির প্রয়াত সহধর্মিণী ও কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা ব্যারিস্টার কৌশিক নাহিয়ান নাবিদ এর মাতা নিলুফার ইসলাম ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর মৃত্যু বরণ করেন। তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছিলেন।

২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, নির্বাচন প্রচারণার এক পর্যায়ে মন্ত্রী অসুস্থ হলে, তার সহধর্মিণী নিলুফার ইসলাম,তার ছেলে ও মেয়ে দুইজনকে নিয়ে, দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে প্রচণ্ড শীত ও ঠান্ডা উপেক্ষা করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় নামেন।

দীর্ঘ দিন তীব্র শীতে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়ার এবং ঠান্ডায় আক্রান্ত হয়ে,নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন। কিন্তু অনেক চিকিৎসা করেও তাকে সুস্থ করা যায়নি। সবাইকে কাঁদিয়ে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। তার মৃত্যুতে সমগ্র পঞ্চগড় জেলায় শোকের ছায়া নেমে আসে। তিনি একজন খুব ভাল মনের মানুষ ছিলেন। বোদা দেবীগঞ্জ সহ পঞ্চগড়ের আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী সহ সকল সাধারণ মানুষ ছিল তার পরিবারের সদস্যের মত। তিনি সবাইকে আপন করে নিয়েছিলেন। তার রান্ধা হাড়ির ভাত খাননি এমন কম মানুষ আছে।

এএম/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন