কুড়িগ্রামে আবারো জেঁকে বসেছে শীত
ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও স্বল্প আয়ের মানুষ। ঠান্ডায় কাজে যেতে না পারায় শ্রমজীবি মানুষ পড়েছে চরম দুর্ভোগে। দিনের বেলা সড়কে হেড লাইট জালিয়ে চলছে বাস ট্রাকসহ পরিবহনগুলো।
এদিকে শীতের তীব্রতা নিবারনে সরকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো গরম কাপড় নিয়ে শীতার্ত মানুষের পাশে দাড়ানো শুরু করেছে।
সোমবার (১ জানুয়ারি) সকাল ৬ টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়ন কৃষক হয়রত আলী বলেন, এতো ঠান্ডায় মানুষ তো বিছানা থেকে উঠে নাই, আর আমরা গরুর হাল নিয়ে মাঠে যাচ্ছি। কাজ করতে গিয়ে হাত পা বরফ হয়ে যায়, কি আর করার কাজ না করলে তো আর সংসার চলবে না।
যাত্রাপুর ইউনিয়নের মোঃ নুর ইসলাম বলেন, গেলো ২ দিন ধরে খুবই ঠান্ডা পড়েছে। ঠান্ডায় বাহির হওয়া যাচ্ছে না। ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে সমস্যায় পড়েছি। এছাড়া বীজ তলা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় আছি। যে হারে শীত পড়ছে বীজ তলা নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা আছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামীকাল থেকে তাপমাত্রা আরও নিচে নামার সম্ভবনা বলে জানান তিনি।