শিক্ষা

কারা ভর্তি হতে পারবেন ট্রান্সজেন্ডার-হিজড়া কোটায়, জানাল ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ট্রান্সজেন্ডার/হিজড়া কোটায় কারা ভর্তি হতে পারবেন, তা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী সম্প্রতি ভর্তির বিজ্ঞপ্তি থেকে ট্রান্সজেন্ডার শব্দটি বাদ দিতে মানববন্ধন করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।

ওই শিক্ষার্থীদের দাবি, সমাজে তারাই কোটা দাবি করতে পারে, যারা অনগ্রসর গোষ্ঠী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজড়া এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্যও কোটা রয়েছে, কিন্তু যারা স্বেচ্ছায় নিজেদের ‘বিকৃত করে’ অনগ্রসর অংশে পরিণত করে, তাদের সাংবিধানিক এ সুযোগ নিতে দেয়া হবে না।

ওই শিক্ষার্থীরা বলেছিলেন, হিজড়া আর ট্রান্সজেন্ডার এক নয়। ট্রান্সজেন্ডার কালচার এলজিবিটির অন্তর্ভুক্ত। ট্রান্সজেন্ডার কোটা দেয়ার অর্থ ‘এলজিবিটি সংস্কৃতি’র প্রচার-প্রসারের নামান্তর।

কী আছে ঢাবির বিজ্ঞপ্তিতে

ঢাবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির ক্ষেত্রে ট্রান্সজেন্ডার/হিজড়া কোটা প্রচলন করা হয়। কেবল জন্মগতভাবে লিঙ্গ বৈচিত্র্যের অধিকারী শিক্ষার্থীরা ট্রান্সজেন্ডার/হিজড়া কোটায় ভর্তির আবেদন করতে পারবেন।

‘সে ক্ষেত্রে কোটা শনাক্তকরণে সরকারের সমাজসেবা অধিদপ্তর প্রদত্ত হিজড়া পরিচয়পত্র অবশ্যই দাখিল করতে হবে।’

বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাখ্যান

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যে দলটি ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দ বাতিলের দাবি করে আসছিল, তারা ঢাবির সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিকে ‘আধুনিক প্রতারণা’ আখ্যা দিয়ে তাদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে।

কর্মসূচির অন্যতম সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মুহাম্মদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশ্বব্যাপী পরিচিত ও ব্যবহৃত সংজ্ঞায়নের বিপরীতে গিয়ে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দের নতুন সংজ্ঞায়ন করলেই শব্দটির অর্থ পরিবর্তন হয়ে যাবে না; বরং বৈশ্বিক অর্থই প্রতিষ্ঠিত থাকবে। “নতুন এই সংজ্ঞায়ন একটি আধুনিক প্রতারণা। আমরা এই প্রতারণার অবসান চাই। ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দটি প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে।”

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন