আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

বেসামরিক ইউক্রেনীয়দের হত্যার দৃশ্য সিসিটিভিতে

লিওনিদ প্লিয়াৎস ও তার বসের পিঠে রুশ সেনাদের গুলি চালানোর দৃশ্যটি ধারণ করা হয়েছিলো ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরায়। সে ফুটেজ হাতে পেয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি। সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ তদন্তের জন্য সেটি এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছেন ইউক্রেনের প্রসিকিউটররা।

রাশিয়া ও ইউক্রেনের সেনাদের মধ্যে লড়াই তুঙ্গে থাকার মধ্যে একটি সাইকেলের দোকানে ছিলেন নিরাপত্তাকর্মী লিওনিদ। ভিডিওতে দেখা যায়, সেই দোকানে গিয়ে লিওনিদসহ নিরস্ত্র দুই ইউক্রেনীয়কে হত্যা করেন রুশ সেনারা। পরবর্তী সময়ে তারা দোকানটি লুট করেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ঘটনাটি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের আশপাশে রুশ সেনাদের সঙ্গে ইউক্রেনের বাহিনীর তুমুল লড়াইয়ের সময়কার। সে সময় রাজধানীমুখী প্রধান প্রধান সড়কে যুদ্ধ চলছিল দুই বাহিনীর।

এতে উল্লেখ করা হয়, লড়াই তুঙ্গে থাকার মধ্যে একটি সাইকেলের দোকানে ছিলেন নিরাপত্তাকর্মী লিওনিদ। ভিডিওতে দেখা যায়, সেই দোকানে গিয়ে লিওনিদসহ নিরস্ত্র দুই ইউক্রেনীয়কে হত্যা করেন রুশ সেনারা। পরবর্তী সময়ে তারা দোকানটি লুট করেন।

বিবিসি বলছে, ঘটনাস্থলের আশপাশের কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরার টুকরা ফুটেজগুলো জোড়া লাগিয়ে পুরো বিষয়টি দেখার চেষ্টা করেছে সংবাদমাধ্যমটি।

ঘটনার দিন লিওনিদ যাদের ফোন করেছিলেন এবং যেসব স্বেচ্ছাসেবী ইউক্রেনীয় যোদ্ধা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেছিলেন, তাদের বক্তব্যও নিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চুরি করা একটি ভ্যানে করে ঘটনাস্থলে আসেন রুশ সেনারা। ভ্যানটিতে রুশ সেনারা যে ভঙ্গিতে বিজয়সূচক ‘ভি’ চিহ্ন দেখান, সে রকম একটি চিত্র এবং ‘ট্যাংক স্পেৎসনাজ’ শব্দযুগল আঁকা ছিল।

সেনাদের পরনে ছিল সামরিক পোশাক। উঁচিয়ে ধরা বন্দুকের ট্রিগারে ছিল তাদের হাত।

বিবিসির কাছে থাকা ফুটেজে দেখা যায়, বেসামরিক নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতে হাত উঁচু করে রুশ সেনাদের দিকে এগোচ্ছিলেন লিওনিদ। শুরুতে লিওনিদ ও তার বসের সঙ্গে বেষ্টনীর বাইরে থেকে কথা বলছিলেন রুশ সেনারা।

সে সময়ের ফুটেজের কোনো অডিও পাওয়া যায়নি, তবে দুজনকে শান্ত দেখা যায়। এমনকি তারা ধূমপানও করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে দুই ইউক্রেনীয়কে ঘটনাস্থল ছাড়তে দেখা যায়। রুশ সেনারাও সেখান থেকে চলে যেতে থাকেন।

বিবিসির ফুটেজে দেখা যায়, হঠাৎ করে সেনারা আগের জায়গায় এসে দুই ইউক্রেনীয়র পিঠে গুলি চালাতে থাকেন। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয় তাৎক্ষণিক।

লিওনিদ খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হেঁটে তার কক্ষ পর্যন্ত যান। রক্তপাত কমাতে তিনি কোমরে বেল্টও বাঁধেন। তারপর ফোনে সাহায্য চান বন্ধু ভাসিল পোদলেভস্কির কাছে।

লিওনিদ তার বন্ধুকে জানান, সেনারা দাবি করেছিলেন, তারা বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করেন না। এরপর তারা তাকে (লিওনিদ) গুলি করেন।

হাসিব মোহাম্মদ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন