ঢালিউড

সাইমনের পদত্যাগ নিয়ে যা বললেন ইলিয়াস কাঞ্চন

আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। ইতিমধ্যে নির্বাচনে অংশ গ্রহণে ইচ্ছুকরা নিচ্ছেন জোর প্রস্তুতি। ঠিক সেরকম একটি মুহূর্তে সমিতি থেকে পদত্যাগ করলেন সংগঠনটির সহ সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক।

শিল্পী সমিতির সভাপতি বরাবর একটি অব্যাহতি পত্র পাঠিয়েছেন সাইমন। সেখানে পদত্যাগের কারণ উল্লেখ করেছেন তিনি। বিদেশি ছবি মুক্তিতে অনিয়ম এবং এতে সমিতির নিস্ক্রিয়তাকে দায়ী করেছেন তিনি। এবার সাইমনের নিস্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন।

সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “সাইমন নিজেও তো এই কমিটির গুরুত্বপূর্ণ নেতা। কই যেসব বিষয়ে এখন তিনি কথা বলছেন, সেগুলো তিনি কমিটির মিটিংয়ে বসে বলেননি কেন! সমিতির পক্ষে তারও তো সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার আছে। এগুলো তো তিনি কখনো উপস্থাপনই করেননি।”

তিনি আরও বলেন, “আমার তো মনে হয়, আমদানি ছবির সাথে এখন তার ছবি মুক্তি পেয়েছে বলেই হঠাৎ প্রতিবাদী হয়ে উঠলেন। না হলে আগে কেন তিনি এ বিষয়ে সোচ্চার হলেন না। তিনিওতো গুরুত্বপূর্ণ নেতা, তিনি আগে নিষ্ক্রিয় ছিলেন কেন!”

শিল্পী সমিতির মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। এ সময় পদ থেকে অব্যহতি চাওয়াটা নিষ্প্রয়োজন বলে মনে করছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেন, “বর্তমান সমিতির মেয়াদই তো শেষের পথে। ফেব্রুয়ারিতে আবার নতুন নির্বাচন। এখন আর অব্যাহতি চাওয়ার কী আছে!”

সাইমনের পাঠানো ওই অব্যহতিপত্রে লেখা আছে, আমি সাইমন সাদিক। আপনার নেতৃত্বাধীন শিল্পী সমিতির নির্বাচিত সহ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। বিগত দিনে আমি আমার দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ নিবেদিত ছিলাম। কিন্তু সম্প্রতি সমিতির নেওয়া কিছু সিদ্ধান্তে ও নীতির সঙ্গে আমি একমত হতে পারছি না। বিশেষ করে সাফটা চুক্তিতে বিদেশি ভাষার সিনেমা আমদানি করে দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্পকে হুমকিতে ফেলে বিদেশি সিনেমা মুক্তির প্রেক্ষিতে বিতর্কিত পরিস্থিতিতে সমিতির নিষ্ক্রিয়তা আমার কাছে সমর্থনযোগ্য নয়। আমার উল্লিখিত শেষ বাজি সিনেমাটি গতকাল মুক্তি পেয়েছে। একই দিনে নিয়ম নীতি না মেনে বিদেশি আর একটি সিনেমা শিল্পী এবং আমার ক্যারিয়ার যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। কিন্তু অত্যন্ত হতাশার বিষয় এ সম্পর্কে আমাদের সমিতি নীরব রয়েছে।

এসব বিষয়ে মত পার্থক্য থাকায় সমিতির কার্যকরী কমিটিতে থাকা আমি অযৌক্তিক ও অনুচিত মনে করছি। তাই সহ সাধারণ সম্পাদক থেকে অব্যাহতি চাইছি। তবে আমি অতীতের মতোই দেশীয় চলচ্চিত্রের বিকাশের পক্ষে কাজ করে যাব।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন