ঝগড়া হলেই দরজায় খিল দেয় গিন্নি, রাগ ভাঙাবেন কী করে?
দাম্পত্য জীবন মানেই টক, মিষ্টি,ঝালের সমন্বয়। আর এ কারণেই ছোটখাটো বিষয় নিয়ে প্রায়শই ঝগড়া হয় দুজনের মধ্যে। বড়দের মুখে অনেক সময়ই শুনতে হয়, এত ঝগড়া কিন্তু ভাল নয়। অথচ সম্পর্ক বিষয়ক পরামর্শদদাতাদের মতে, রাগ মনের মধ্যে পুষে না রেখে ঝগড়া করে নেয়াই ভাল। মন খুলে ঝগড়া করুন, তবে ঝগড়ার পরবর্তী মুহূর্তগুলি কীভাবে সামলাচ্ছেন, সেটা কিন্তু ভীষণ জরুরি। দীর্ঘ দিনের সাজানো সংসার ভেঙে যেতে পারে সামান্য ভুলেই। তাই ঝগড়ার পরে কিন্তু দু’জনকেই সাবধান হতে হবে। ঝগড়ার পর কীভাবে সহজেই মিটমাট করবেন, রইল তার কিছু টিপস-
ঝগড়ার শেষে একে অপরকে সময় দিতে হবে, সঙ্গে সঙ্গে মিটমাট করতে যাবেন না। ঠান্ডা মাথায় ভাবুন, কী করলে ঝগড়া এড়ানো যেত। কিছুটা সময় দিলে দু’জনের মন থেকেই ধীরে ধীরে অশান্তির রেশ কমে যাবে। তার পরেই পরস্পরের সঙ্গে কথা বলুন।
ঝগড়ার পরেই দরজায় খিল আটকে বসে থাকবেন না যেন। রাগ পুষে রাখলে সমস্যা কিন্তু আরও বাড়বে। খানিকটা শান্ত হয়ে একে অপরের সঙ্গে কথা বলুন। ঝগড়ার পরেই পরস্পরের সঙ্গে স্বাভাবিক ভাবে কথা বলতে খানিক সময় লাগে। তাই বলে কথা বন্ধ করে বসে থাকার কোনও অর্থ হয় না।
ঝগড়ার পর পরস্পরকে দোষারোপ করবেন না। এতে সমস্যা বেড়ে যায়। চেষ্টা করুন, সঙ্গীকে নিজের কথা বোঝানোর। নিজেও ধৈর্য ধরে তার কথা শুনুন। এই উপায়ে ঝগড়ার পর যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়, তা–ও সহজে কেটে যাবে।
ঝগড়ার ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী দু’জনেরই সমান অবদান থাকে। তাই ঝগড়ার শেষে দু’জনেই একে অপরের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলে কিন্তু সমস্যা মিটে যায়। এই অভ্যাস কিন্তু যে কোনও ঝগড়ার শেষে মিটমাট করার সেরা উপায়। তবে কে প্রথম ক্ষমা চাইবেন, এই নিয়ে মনের মধ্যে দোলাচল থাকে। দু’জনকেই এ ক্ষেত্রে সমান ভাবে উদ্যোগী হতে হবে।
ঝগড়া হলে আর পাঁচজনের সঙ্গে নিজেদের সমস্যা ভাগ করে নেবেন না। এতে কিন্তু সমস্যা বাড়ে। নিজেদের মধ্যেই ঝগড়া মিটিয়ে নিন। তৃতীয় ব্যক্তির হস্তক্ষেপে সমস্যা আরও বাড়বে বই কমবে না।