জলদস্যুদের নির্দেশে নতুন গন্তব্যে জিম্মি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’
বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহর’নোঙর জলদস্যুদের নির্দেশে আবার তুলে ফেলা হয়েছে। সোমালিয়ার উপকূলে নেয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২৩ নাবিকসহ জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজটিকে কাছাকাছি আরেক এলাকায় জলদস্যুরা সরিয়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন জাহাজটির চিফ অফিসার ক্যাপ্টেন মো. আতিক উল্লাহ খান।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় জাহাজের মালিকপক্ষের কাছে এক ই-মেইল বার্তায় এ কথা জানান তিনি।
তথ্যসূত্র বলছে, গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দুপুরে প্রথমে সোমালিয়ার গ্যারাকাদ উপকূল থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে জিম্মি জাহাজটি নোঙর করেছিল দস্যুরা। এরপর সন্ধ্যার দিকে উপকূল থেকে ৭ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রাখে। শুক্রবার জাহাজটি আবারও নোঙর তুলে কাছাকাছি আরেক এলাকায় নিয়ে যায়।
ধারণা করা হচ্ছে, দস্যুরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে জাহাজের অবস্থান পরিবর্তন করছে। বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন এসআর শিপিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরেুল করিম।
তিনি বলেন, চিফ অফিসারের মেইল পেয়েছি। জাহাজের সব নাবিক সুস্থ আছেন বলে চিফ অফিসার ক্যাপ্টেন মো. আতিক উল্লাহ খান জানিয়েছেন। দস্যুরা তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছে না এবং এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের আর্থিক দাবি-দাওয়া নিয়েও কথা বলেনি। জাহাজ নিয়ে তাদের পছন্দমতো কোনো নিরাপদ অবস্থানে পৌঁছানোর পরই হয়তো জলদস্যুরা মুক্তিপণ দাবি করতে পারে।
এদিকে কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, দস্যুরা এখনও যোগাযোগ করেনি। তবে আমরা বসে নেই। আলোচনার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারী সংগঠনগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ চলছে।
এর আগে মোজাম্বিক থেকে ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জিম্মি করার তৃতীয় দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলের দিকে নিয়ে আসে দস্যুরা।
এএম/