উত্তেজনার মধ্যেই ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজ দখলে নিলো ইরান
ইসরায়েল ও ইরানের চলমান উত্তেজনার মধ্যেই্ হরমুজ প্রণালীতে তেলআবিব সংশ্লিষ্ট একটি জাহাজ দখলে নিয়েছে তেহরান। জাহাজ ট্র্যাকিং সাইট মেরিন ট্রাফিক জানিয়েছে,ইরানের দখলে থাকা ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজ ‘এমসিএস এরিস’বর্তমানে পারস্য উপসাগর দিয়ে যাত্রা করছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আইআরএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (১৩ এপ্রিল) হরমুজ প্রণালির কাছ থেকে ওই জাহাজ জব্দ করে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)।
তেহরানের দাবি ‘এমসিএস এরিস’ নামে জাহাজটির সঙ্গে ইসরায়েলের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। বিমান দিয়ে অভিযান চালিয়ে আইআরজিসি সদস্যরা সেটি জব্দ করেছে। জাহাজটি এখন ইরানের জলসীমার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলার ঘটনায় ইরান-ইসরাইল দ্বন্দ্বে যুক্তরাষ্ট্র যদি তেল আবিবের পক্ষ নেয়, তবে মধ্যপ্রাচ্যে থাকা মার্কিন ঘাঁটিগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। শনিবার ওয়াশিংটনকে তেহরান এমন হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরই ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজ দখলে নেওয়ার ঘটনা ঘটলো।
এর আগে, ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, ইসরাইলের ওপর যেকোনো হামলা হলে যুক্তরাষ্ট্র একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্রটির পাশে থাকবে। ইসরায়েলকে রক্ষায় সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।
ইরানি কনস্যুলেট ভবনে চালানো বিমান হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) আল-কুদস ফোর্সের দুই শীর্ষ জেনারেলসহ সব মিলিয়ে ১১ জন নিহত হয়। বিভিন্ন সাক্ষ্য ও আলামতে তেহরানের দাবি, বিমান হামলাটি ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) চালিয়েছিল।
তেলআবিব ওই হামলার দায় স্বীকার না করলেও ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি, দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ শীর্ষস্থানীয় নীতি নির্ধারকেরা একাধিকবার ইসরাইলের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেন।