লাইফস্টাইল

গরমে ফলের রস নাকি স্যালাইন?

গত কয়েকদিনে ধরে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে তাপদাহ। এই সময়ে শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হয়। ফলে শরীর দ্রুত ক্লান্ত হয়। শরীরের পানিশূন্যতা পূরণ করে ক্লান্তি দূরতে পানি এবং পানীয় জাতীয় খাবারের কোনো বিকল্প নেই।

তবে অনেকেই মনে করেন দ্রুত পানিশূন্যতা পূরণে স্যালাইন খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। আবার অনেকে ভরসা রাখেন ফলের রসের ওপর। যার কারণে গরমের শুরু থেকেই ওআরএস এবং ফলের রস খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে।

কিন্তু প্রশ্ন হল, এই দুই ধরনের পানীয়ের মধ্যে কোনটা খেলে শরীরকে সুস্থ-সবল রাখতে পারবেন?

ফলের রস মহৌষধি

পুষ্টিবিদদের মতে, গরমে তাজা ফলের রস নিয়মিত খাওয়া যেতেই পারে। তাতে যেমন পানির ঘাটতি মিটে যায়, ঠিক তেমনই শরীরে প্রবেশ করবে অত্যন্ত উপকারী সব অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। শুধু তাই নয়, যে কোনও ফলের রস থেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ মেলে। তাই এই গরমে শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত যেকোন ফলের রস পান করা ভালো। তাতেই শরীরে উপকার পাবেন হাতেনাতে।

স্যালাইনের উপকারিতা

প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের প্রাণ বাঁচিয়ে এসেছে ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন বা স্যালাইন। কোনও কারণে ডিহাইড্রেশন হলে শরীর থেকে পানির পাশাপাশি সোডিয়াম-পটাশিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ উপাদান দ্রুত গতিতে বাইরে বেরিয়ে যায়। আর সেই সুবাদে আক্রান্তের স্বাস্থ্যের দ্রুত অবনতি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। আর এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে দেহে পানি এবং অন্যান্য খনিজের ভারসাম্য ফেরানোর কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ওআরএস। তাই সারা পৃথিবী জুড়েই ওআরএস-এর এতটা চাহিদা।

ফলের রস নাকি স্যালাইন?

পুষ্টিবিদরা বলছেন, গরমের এই সময়ে, এই দুই পানীয়ই শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাই প্রচণ্ড গরমে সুস্থ থাকতে চাইলে ফলের রস এবং স্যালাইন, এই দুই পানীয়ই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেতে হবে। তবে ডিহাইড্রেশন হলে বা ডায়রিয়ার কবলে পড়লে তখন আর ফলের রসে কাজ হবে না। তখন অবশ্যই নিয়ম মেনে স্যালাইন খেতে হবে।

বাড়িতেই বানান ফলের রস

ফলের রস খেতে চাইলে ঘরেই তাজা ফল থেকে রস করে খাওয়া উচিত। বাজারজাত যে কোনও বোতলবন্দি ফলের রস খেলে কিন্তু কোন লাভ পাবেন না। কারণ এইসব ফলের রসে চিনি এবং ফ্লেভার মিশ্রিত থাকে যা কিনা শরীরের উপকারের বদলে ক্ষতি করে বেশি।

তার চেয়ে বরং গরমে সুস্থ থাকতে টাটকা ফল কিনে এনে বাড়িতে রস করে খান। তবে ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখ বা অন্য কোনও ক্রনিক রোগ থাকলে নিয়মিত ফলের রস খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

তবে ফলের রস আর স্যালাইন যেটাই খান না কেনো, নিয়মমাফিক অবশ্যই প্রতিদিন অন্তত দুই লিটার করে পানি পান করতে ভুলবেন না।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন