বলিউড

বিচ্ছেদের পরেও মুখোমুখি কারিনা-শাহিদ!

বলিউডে একসময় তারা যেমন ছিলেন জনপ্রিয় যুগল, তেমনি ছিলেন আলোচনা সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু। বলছিলাম কারিনা কাপুর ও শহিদ কাপুরের কথা। বর্তমানে তারা আলাদাভাবে সুখেই সংসার করছেন। কিন্তু সম্পর্ক ভেঙে গেলেও শুটিং চালিয়ে যান তারা! কিন্তু একসময়ে কারিনা-শহিদের বিচ্ছেদ নিয়ে কম আলোচনা হয়নি।

শোনা যায়, ‘জব উই মেট’ ছবির শুটিংয়ের সময়েই কারিনা-শহিদের সম্পর্কে চিড় ধরে। এ ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কথা বললেন পরিচালক ইমতিয়াজ আলি।

‘জব উই মেট’ মুক্তি পায় ২০০৭ সালে। পর্দায় শহিদ ও কারিনার রসায়নেও মুগ্ধ হয়েছিলেন অনুরাগীরা। কিন্তু পর্দার পেছনের চিত্রটি ছিল তখন একদম ভিন্ন। সেই সময়েই সম্পর্কে ভাঙন ধরে তাদের। কিন্তু তার চিহ্নমাত্র প্রকাশ পায়নি শহিদ-কারিনার অভিনয়ে। নিজেদের সমস্যা কখনো ছবির সেটেও নিয়ে আসেননি তারা। ইমতিয়াজ দুজনেরই পেশাদার আচরণের প্রশংসা করেছেন।

কারিনা,-শাহীদ

বেশ কয়েক বছর সম্পর্কে ছিলেন শহিদ ও কারিনা। ২০০৬-এ রাস্তা আলাদা হয়ে যায় তাদের। বিচ্ছেদ হওয়ার পরের দুদিন মুখোমুখি হয়েছিলেন এই জুটি।

ইমতিয়াজ বলেন, ‘ছবির শুটিং শেষ হওয়ার সময়ে ওরা সম্পর্কে ইতি টানে। পুরো ছবিটার শুটিং প্রায় হয়ে গিয়েছিল। ওদের বিচ্ছেদের পরেও দুদিন বাকি ছিল শুটিংয়ের। আমাদের কাজটা শেষ করতেই হতো। কিন্তু ওরা সম্পূর্ণ পেশাদার ছিল। ওদের ব্যক্তিগত জীবনে কী চলছে, তার বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়েনি ছবিতে।’

ইমতিয়াজ় আরও বলেন, ‘জব উই মেট’-এ ‘গীত‘ ও ‘আদিত্য’ চরিত্রে তার প্রথম পছন্দ ছিল ববি দেওল ও প্রীতি জ়িনতা। কিন্তু ববি অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায়, তা আর হয়নি। তখন শীর্ষ দুই চরিত্রের জন্য ইমতিয়াজ বেছে নেন শহিদ ও কারিনাকে। সেই সময়ে তাদের মধ্যে সম্পর্কের সমীকরণ মোটেও ভালো ছিল না। কিন্তু তার কোনো প্রভাব পড়েনি ছবিতে।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে সাইফ আলি খানের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন কারিনা কাপুর। অন্যদিকে ২০১৫ সালে মীরা রাজপুতকে বিয়ে করেন শহিদ কাপুর।

 

এসি//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন