ভারতের সংসদ সদস্যরা যে যে সুবিধা পান
ভারতের জাতীয় নির্বাচনে ভোট ফল ইতোমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ২৪০টি আসন জিতেছে। তবে তাদের ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) মিলে একত্রে ২৯৩টি আসন পেয়েছে, এতে জোটটির একটি ভালো সুবিধাজনক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। রোববারই তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। শুধু তিনি একা নন, তার সঙ্গে শপথ নিতে পারেন নতুন মন্ত্রিসভার আরও কয়েক জন।
দেশটিতে সাংসদ হওয়ার সুবিধা কী কী? বেতন ছাড়া আর কী কী পাওয়া যায়?
তথ্য অনুযায়ী, একজন সাংসদ প্রতি মাসে মূল বেতন হিসেবে এক লাখ টাকা পান। বছর কয়েক আগে ২০১৮ সালে তা বাড়ানো হয়েছে। তাও আবার মুদ্রাস্ফীতি ও মূল্যবৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে। এছাড়া যে এলাকার তিনি জনপ্রতিনিধি, সেখানকার কাজকর্ম পরিচালনার জন্য প্রতি মাসে সত্তর হাজার টাকা বরাদ্দ থাকে। এই টাকায় সেখানে নতুন দপ্তর খোলা, কিছু স্থানীয় কর্মী নিয়োগের কাজ করা যেতে পারে। যাতে সেই অফিসের মাধ্যমে এলাকার মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা জানা যায়। এছাড়াও সাংসদকে নিজের অফিস চালানোর জন্য ষাট হাজার টাকা দেয়া হয়।
বেতনের পাশাপাশি ভাতাও পান এ দেশের সাংসদরা। সংসদ ভবনে যদি অধিবেশন চলে বা সংসদীয় কমিটির কোনও স্থায়ী বৈঠকের ডাক দেয়া হয়। তাহলে সেখানে হাজির থাকার জন্য দুহাজার টাকা দেয়া হয়। আর সুযোগ-সুবিধা? প্রত্যেক সাংসদ দেশের যেকোনও প্রান্তে যাওয়ার জন্য ৩৪টি বিমান সফর (বার্ষিক) বিনামূল্যে পান। সারা বছর বিনামূল্যে ট্রেনের ফার্স্টক্লাস কামরায় সফর করতে পারেন। তা সে পেশাগত সফর হোক বা ব্যক্তিগত সফর। এমনকী, কোনও সাংসদ নিজের কেন্দ্রে গাড়ি নিয়ে ঘুরলে তার জ্বালানির টাকাও পেয়ে যান।
রাজধানীতে থাকার আয়োজনও রাজকীয়। দিল্লিতে থাকার জন্য প্রত্যেক সাংসদের জন্য একটি বাংলো বরাদ্দ থাকে। তাও আবার অভিজাত এলাকায়। হ্যাঁ, এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ সাংসদরা বাড়তি সুবিধা পান বলেই খবর। যারা বাংলো বা হোস্টেলে থাকতে চান না তারা আবার বাড়িভাড়া হিসেবে ২ লাখ টাকা পান। সাংসদ ও তার নিকট আত্মীয়রা সরকারি স্বাস্থ্য প্রকল্পের (CGHS) আওতায় বিনামূল্যে চিকিৎসা করাতে পারেন। কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালেও এই সুবিধা থাকে।
এছাড়াও সাংসদরা ফোনের খরচ বাবদ বার্ষিক দেড় লাখটাকা ও বছরে অন্তত ৫০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ পরিষেবা বিনামূল্যে পান। ফ্রিয়ের তালিকায় চার হাজার কিলোলিটার পানিও রয়েছে।
এবার নুসরত জাহান, মিমি চক্রবর্তীর মতো প্রাক্তন সাংসদদের কথায় আসা যাক। তারা কী পাবেন? প্রাক্তন সাংসদদের প্রতি মাসের পেনশন ২৫ হাজার টাকা। কোনও কারণে তার কাজের মেয়াদ বছর খানেক বাড়লে এই পেনশনের পরিমাণ আবার ২ হাজার টাকা করে বেড়ে যায়।
জেএইচ