দারুন সুযোগ, বিদেশিদের নাগরিকত্ব দিচ্ছে সৌদি আরব
আবারও সংস্কার আনলেন মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ধনী দেশ সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এবার সৌদি আরবে বসবাসরত বিভিন্ন দেশের নানা শ্রেণি পেশার মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছেন তিনি।
এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার(৪ জুলাই) বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, গবেষক, উদ্যোক্তাসহ বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের এক প্রতিবেদন এই তথ্য জানিয়েছে ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নাগরিকত্ব প্রদান সৌদির রাজকীয় আদেশের অংশ হিসাবে ডিক্রি জারি করা হয়েছিল। নাগরিকত্ব পাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, গবেষক, উদ্ভাবক, উদ্যোক্তাসহ বিভিন্ন পেশার বেশ কয়েকজন। তবে, ঠিক কতজনকে এই নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে, তা উল্লেখ করা হয়নি।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সৃজনশীল ব্যক্তিদের সৌদি আরবে আকৃষ্ট করতে তিনি এমন উদ্যোগ নিয়েছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও সিঙ্গাপুর থেকে আসা নানা শ্রেনির মানষকে সৌদি আরবের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে কোনো প্রবাসী বাংলাদেশি সৌদির নাগরিকত্ব পেয়েছেন কিনা তা জানা যায়নি। ২০২১ সালে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান প্রথমবার বিদেশিদের এমন নাগরিকত্ব অনুমোদন দেওয়ার তিন বছর পর তার বাস্তবায়ন শুরু হলো।
সৌদি যুবরাজের এই পদক্ষেপের ফলে ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নে আরও একধাপ এগিয়ে গেল সৌদি আরব। ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন সেক্টরে উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম প্রতিভাবান ও দক্ষ লোকদের সন্ধান করছে সৌদি সরকার।
পেট্রো ডলার থেকে নির্ভরতা কমিয়ে সৌদি যুবরাজ এখন সৌদি অরবকে ভিন্ন ভাবে ফুলে ফেঁপে উঠাতে চাইছেন। ব্যাপক উন্নয়ন ঘটাতে চাইছেন সৌদির অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি ও খেলাধুলা ক্ষেত্রেও। তাইতো একের পর এক কার্যকরি সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।ৎ
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক বছর ধরে বদলে যাওয়া এক সৌদি আরব দেখছে বিশ্ববাসী। পেট্রো ডলার থেকে নির্ভরতা কমিয়ে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে নতুন আয়ের উৎস খুঁজে বের করার জন্য বর্তমান প্রশাসন হন্যে হয়ে বিভিন্ন বিষয় চিন্তা করছে। এতে মূল নেতৃত্ব দিচ্ছেন সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান।
২০১৫ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেয়ার পরের বছর থেকেই সৌদি আরবে সংস্কারকাজ শুরু করেন সৌদি যুবরাজ। অর্থনৈতিক বিষয় ছাড়াও অনেক সামাজিক সংস্কারে হাত দেন তিনি। যেমন- নারীদের আরো ‘স্বাধীনতা’ এবং এর আওতায় গাড়ি চালানো, ব্যাংকে চাকরি, স্টেডিয়ামে খেলা ও হলে সিনেমা দেখা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন কাজের সুযোগ করে দেয়া প্রভৃতি, যুবকদের চাকরির ব্যবস্থা ও নতুন ব্যবসায় উদ্বুদ্ধকরণ; এসব কাজ করায় অনেকেই তাকে একজন সংস্কারক মনে করছেন।
সৌদি আরবের মোট জনসংখ্যার ৭০ ভাগই যুবসমাজ। এর অর্ধেকের কিছু কম হলো নারী। সৌদি যুবরা বর্তমানে আধুনিক জীবনযাপনে উৎসাহী।এই যুবসমাজকে টার্গেট করেই সৌদি যুবরাজ তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এগিয়ে নিচ্ছেন।
এমআর//