ওষুধের গাড়িতে করে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ নথি গায়েবের চেষ্টা, অতপর...
রাজধানীর সায়েন্সল্যাবের সড়ক ধরে পার হচ্ছিল ওষুধের গাড়ি। এ সময় ওই সড়কের শৃঙ্খলায় ছিলেন শিক্ষার্থীরা। তবে সন্দেহ হলেই চালককে জিজ্ঞাসাবাদ শুর করেন তারা। এ সময় গাড়ির ভেতরে ওষুধ আছে দাবি করলেও দরজা খুলতেই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেখা যায়, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের গাড়িচালক ওষুধের গাড়িতে করে হাজার কোটি টাকার চেক ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ নথি নিয়ে পালাচ্ছিলেন।
শুক্রবার ( ৯ আগস্ট) দুপুরের দিকে এই ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীরা গণমাধ্যমে জানান, তারা সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ট্রাফিকিংয়ের কাজ করছিলেন। সন্দেহ হলে তারা গাড়ি খুলতে বলেন। তখন গাড়ির চালক জানান, ভেতরে ওষুধ আছে, কাপড় আছে। এ সময় সন্দেহ হলে শিক্ষার্থীরা তাকে দরজা খুলে দেখাতে বলেন। কিন্তু তিনি দরজা না খুলে তাড়াহুড়ো শুরু করেন। এরপর জোর করা হলে এবং অন্য সব শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে গাড়ি ঘেরাও করলে তিনি দরজা খোলেন। এরপর বেরিয়ে আসে ভেতরের চিত্র। সেখানে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ নথিসহ সিটি ব্যাংকের তিন হাজার টাকার চেক পাওয়া যায়। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ নথি রয়েছে এ গাড়িতে।
অপর এক শিক্ষার্থী জানান, গাড়ির চালকের লাইসেন্সও ছিল না। এরপর বেশি সন্দেহ জাগে তাদের। তারপর তারা লাইভে থেকে গাড়ির ভেতরে কী ছিল তা খুলে দেখান। সেখানে বেরিয়ে আসে নানা সরকারি নথি। তার মধ্যে একটি কাগজে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারী ও একান্ত সচিবের স্বাক্ষর আছে। বিপুল মামলার কাগজ। একইসঙ্গে কোটি কোটি টাকার চেকটি একটি বেসরকারি ব্যাংকের।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, তারা যখন নথিপত্র দেখে বুঝতে পারেন, এসব রাষ্ট্রের সাবেক প্রধান আইন কর্মকর্তার। তখন তারা বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে সেনবাহিনীকে খবর দেন। তারা সবকিছু সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেবেন। সেনাবাহিনী সেগুলো দেখবে।
এএম/