'নতুন বাংলাদেশ' বিনির্মানে সরকারকে টিআইবির আহ্বান
রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজাতে সুনির্দিষ্ট, কৌশলনির্ভর পথরেখা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের নিশ্চয়তাসহ ‘নতুন বাংলাদেশ’ বিনির্মানের কথাও জানিয়েছে টিআইবি।
দুর্নীতিবিরোধী এই সংস্থাটি শুক্রবার (৯ আগস্ট) একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের ধারাবাহিকতায় ‘নবীন-প্রবীণের’ সমন্বয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিনন্দন। ‘মুক্তিযুদ্ধের সরকার’ নামধারী স্বৈরতন্ত্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অবমাননা করেছে, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় এর বিচার দাবি করেছে এই সংস্থাটি।
পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও নিদর্শন রক্ষায় অতন্দ্র-প্রহরীর ভূমিকা পালনের জন্য সাধারণ জনগণ ও শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানায় টিআইবি।
বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান জানিয়েছেন,‘জবাবদিহিহীন ও ক্ষমতার দম্ভে অন্ধ অপশক্তিকে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ নজিরবিহীন আত্মত্যাগের বিনিময়ে পরাভূত করেছে। এর মাধ্যমে স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পর নতুন করে স্বাধীনতার চেতনার বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হয়েছে। এটাকে কাজে লাগাতে নতুন সরকারকে সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে।‘
বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে বলা হয়,চরম সংকট ও অভূতপূর্ব সম্ভাবনাময় মুহূর্তে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। তাদের ওপর এ দেশের আপামর জনগণের সীমাহীন প্রত্যাশা। ছাত্র-জনতার অজেয় শক্তির হাতে পরাজিত দীর্ঘকাল লালিত দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতির পরিণতি থেকে সঠিক শিক্ষা নিয়ে বৈষম্যমুক্ত, সুশাসিত, দুর্নীতিমুক্ত, বাক ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতাসহ মানবাধিকার-ভিত্তিক, জনকল্যাণমূলক, অংশগ্রহণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক ‘নতুন বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে টিআইবি তার সক্ষমতা অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানে আগ্রহ প্রকাশ করছে।
সংখ্যালঘুদের বসতবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মন্দির ও উপসনালয়ে হামলার ঘটনা ঘটছে বলে বারবার উদ্বেগ জানিয়েছে টিআইবি। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলার ঘটনা অগ্রহণযোগ্য বিবেচনা করে এই সংস্থাটি।
এম এইচ//