কীভাবে ভারতে পালালেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, যা জানালো বিজিবি
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ অসংখ্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ভারতে পালিয়েছেন। তবে তারা কীভাবে কোন সীমান্ত দিয়ে পালিয়েছেন তা জানে না বিজিবি। এরপর প্রশ্ন ওঠে, সীমান্ত দিয়ে কীভাবে অবৈধভাবে পালালেন তারা? বাহিনিটি বলছে, দেশ থেকে পালানোর ঘটনায় বিজিবির দায় আছে। তো শুধু কি বিজিবিই দায়বদ্ধ? কোন সীমান্ত দিয়ে কে পালিয়ে গেছেন তা অবশ্যই তদন্ত করা হবে। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে বিজিবি সদর দপ্তরের কনফারেন্স হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
ডিজি বলেন, গত ৬ আগস্ট থেকে যে স্ক্রল দেখেছেন , সীমান্ত পথে পালানো রোধে বিজিবিকে সহায়তা করুন, এই নির্দেশনা কেউ বিজিবিকে দেয়নি। নিজ উদ্যোগে নেয়া হয়েছে। তখন থেকে আমরা চেষ্টা করছি। তথ্য দেয়ার যে সব সংস্থা আছে তারাও যদি তথ্য দেন তাহলে কাজটা সহজ হয়।
মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী আরও বলেন, সবাই কি পালিয়ে গেছে? আমার মনে হয় না। জনবহুল এই দেশে কেউ কেউ আত্মগোপনে আছেন। মাদক ব্যবসায়ী বদিকে ধরার জন্য বেশকটি অভিযান পরিচালনা করেছি। শোনা গেল তিনি ট্রলারে করে মিয়ানমার গেছেন। কিন্তু গ্রেপ্তার হলেন সীতাকুণ্ড থেকে। এরকম একদিকে যাওয়ার আওয়াজ দিয়ে অন্য দিক থেকে পালানোর চেষ্টা করছেন অনেকে।
তিনি সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনাদের কাছেও তথ্য থাকে। বিজিবিকে জানান, আমরা ব্যবস্থা নেবো। আমরা পালানো রোধে বদ্ধপরিকর।
উল্লেখ্য, তালিকাভুক্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিরোধী ২২ অ্যাকটিভিস্টকে গ্রেপ্তার করেছে বিজিবি। কিন্তু এরপরও প্রচুর সংখ্যক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী পালিয়েছেন। তারা কীভাবে কোন সীমান্ত দিয়ে পালিয়েছেন তা জানে না বাহিনিটি।
এএম/