আবারও ‘টেসলা চমক’! বাজারে আনলো বৈদ্যুতিক মোটরহোম
আবারও চমক দেখালো ইলেকট্রিক গাড়ির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা। এবার তারা বাজারে নিয়ে এলো স্বল্পমূলের পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক মোটরহোম। টেসলা টু-জিরো টু-ফাইভ মোটরহোমটি কিনতে খরচ পড়বে ১৭ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় বিশ লাখ টাকা। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিকভাবে এই মোটরহোম যাত্রার উদ্বোধন করেছেন টেসলার মালিক-বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক।
একটি মোটরহোম হলো স্ব-চালিত, মোটরচালিত অথবা বৈদ্যুতিক ভ্যান বা গাড়ি। এই মোটরহোমকে বলা হয়ে থাকে স্বল্পমেয়াদী বা দীর্ঘমেয়াদী বাসস্থান হিসাবে সজ্জিত মোবাইল যান। তবে টেসলার মোটরহোম প্রকৃতপক্ষে একটি ইলেকট্রিক ভ্যান। ছুটির দিন এবং পরিকল্পনামাফিক ভ্রমণ বা অবকাশ যাপনের জন্য মোটরহোম ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
প্রযুক্তি উদ্যোক্তা হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত ইলন মাস্ক। শিল্পকে বহুমাত্রিক রূপ দেওয়ার পাশাপাশি খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য খ্যাতিমান। বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণে অসামান্য বিপ্লবসাধন, বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে মানব মস্তিস্কে কম্পিউটার চিপস স্থাপন, স্পেসএক্সের সাথে অন্যগ্রহে মানুষের বসতি স্থাপনের জন্য যাওয়ার উপযোগী রকেট তৈরি-ধারাবাহিক উদ্ভাবনের উচ্চাভিলাসী এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এগিয়ে চলেছেন ইলন মাস্ক। তাঁর সবশেষ সফল আয়োজন ইলেকট্রিক ভ্যান-টেসলা টু-জিরো টু-ফাইভ মোটরহোম।
অসম্ভবকে সম্ভব করাই যেনো ইলন মাস্কের কাজ। টেসলা মোটরহোম বাজারে এনে আবারও এটি প্রমাণ করলেন তিনি। ইলন মাস্ক এখন মানুষের জীবনধারায় বিপ্লব আনতে প্রস্তুত। ইলেকট্রিক মোটরহোম চালুর মাধ্যমে তিনি পরিবেশ বান্ধব জীবনযাপনের জগতে প্রবেশ করলেন। টেসলারের এই মোটরহোম ভ্রমণ ও টেকসই জীবনযাত্রার ভবিষৎতকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করেছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি বিলাসবহুল এই মোটরহোমটি পরিপূর্ণ আরাম. পারিবারিক আয়েস, গতিশীলতা ও টেকসই স্থায়ীত্বের প্রতীক।
বিশ্বব্যাপী টেসলারের পরিচয় ইলেক্ট্রিক গাড়ির নির্মাতা হিসেবে। ইলেক্ট্রিক গাড়ির জনপ্রিয়তা এবং সব মহলে কৌতুহল তৈরিতে টেসলারের ভূমিকা অনবদ্য। যুক্তরাষ্ট্রের বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারের ৮০ ভাগই টেসলারের হাতে। ইলন মাস্ক অনেক দিন ধরেই ভাবছিলেন, তাঁর কোম্পানির মূল লক্ষ্য হবে জনসাধারণের ব্যবহারযোগ্য বৈদ্যুতিক মোটরহোম তৈরি করা, অর্থাৎ বৈদ্যুতিক মোটরহোম মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসা। এবার সেই আশাই পূরণ হলো মাস্কের।
ভবিষৎত কী চায় বা ভবিষৎতের জন্য যা প্রয়োজন তার নাড়ির খবর জানতে চান ইলন মাস্ক। আর নমনীয়, পরিবেশ-বান্ধব ও জীবনধারার জন্য ক্রমবর্ধমান আকাঙ্খার প্রশ্নে তার জন্য উত্তর হলো টেসলারের এই মেটারহোম। আবাসন প্রবণতা ন্যুনতম জীবনধারা ও টেকসই সমাধান চাওয়ার কারণে টেসলারের এই মোটরহোম একদম ঠিক সময়েই বাজারে এসেছে।
বৈদ্যুতিক গাড়ির মধ্যেই একটি ছোট ঘরে চলাফেরা, বিশ্রাম, বিনোদন উপভোগ, এমনকি অফিসের কাজও শেষ করার ব্যবস্থা রয়েছে টেসলা মোটরহোমে। যারা আরাম আয়েশে বিশ্বের অনাবিল আনন্দ উপভোগ করতে চান, ঘুরে ঘুরে বিশ্বকে দেখতে চান তাদের জন্য টেসলার মোটরহোম খুবই চমৎকার একটি মাধ্যম।
স্বয়ংচালিত বৈদ্যুতিক এই মোটরহোমটি আবাসন বাজারেও ভাগ বসিয়েছে। টেসলার মোটরহোমটি মূলত বৈদ্যুতিক গাড়িতে আবাসন ছাড়া কিছুই নয়। ছোট পরিবারের বসবাসের জন্য বেশ চমৎকার আবাসন সিস্টেম এই মোটরহোম। পরিবেশ-সচেতন ভ্রমণের ভবিষ্যতের পথ তৈরির জন্যই স্বল্পমূল্যের এই মোটরহোম বাজারে এনেছে টেসলা।
এমআর//