টিনেজ স্কিন প্রবলেম সমাধানে সহজ ৯টি ধাপ
স্কুল, কলেজ, এক্সাম আর টিউশন টিনেজ জীবনের এই ব্যস্ততায় ত্বকের যত্ন নেয়া অনেক সময়েই কঠিন হয়ে পড়ে। আয়নায় তাকালেই পিম্পল আর ব্ল্যাকহেডস চোখে পড়ে অনেকের। টিনেজ স্কিনের এই সমস্যা মোকাবিলার জন্য আমরা এনেছি ৯টি সহজ এবং কার্যকর ধাপ।
প্রথমেই, বুঝতে হবে টিনেজারদের স্কিন প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় আলাদা কেন। এই বয়সে ত্বক কোলাজেন-সমৃদ্ধ ও তুলনামূলক মসৃণ থাকে। তবে হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে স্কিনে সেবাম বা তেল নিঃসরণ বেড়ে যায়, যা পিম্পল বা একনে সমস্যা সৃষ্টি করে।
টিনেজে স্কিন কেয়ার অনেক গুরুত্বপূর্ণ। টিনেজ বয়স থেকেই স্কিন কেয়ারের অভ্যাস গড়ে তুললে ভবিষ্যতে বলিরেখা বা পিগমেন্টেশনের মতো বড় সমস্যাগুলো থেকে মুক্ত থাকা যায়। তাছাড়া সুস্থ ত্বক আত্মবিশ্বাসও বাড়ায়।
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ৯টি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ:
১. ক্লেনজিং:
সারাদিন বাইরে থাকার কারণে ত্বকে ধুলোময়লা জমে যায়। তাই প্রতিদিন ত্বকের ধরন অনুযায়ী ক্লেনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করা জরুরি। রাতে ত্বক ডাবল ক্লেনজিং পদ্ধতিতে পরিষ্কার করলে পিম্পলের সম্ভাবনা কমে।
২. এক্সফোলিয়েশন:
পলিউশন এবং হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে এই বয়সে পোরস বড় হয়ে যায়। সপ্তাহে একবার মাইল্ড এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করলে ত্বকের মরা কোষ দূর হয় এবং স্কিন আরও উজ্জ্বল দেখায়।
৩. ময়েশ্চারাইজিং:
সব ধরনের ত্বকের জন্যই ময়েশ্চারাইজার প্রয়োজন। এতে ত্বক হাইড্রেটেড থাকে এবং বয়সের ছাপ পড়া প্রতিরোধ হয়। অয়েলি স্কিনের জন্য হালকা জেল-বেসড ময়েশ্চারাইজার এবং ড্রাই স্কিনের জন্য ক্রিম-বেসড প্রোডাক্ট বেছে নিন।
৪. একনে ট্রিটমেন্ট:
একনে সমস্যা কমাতে বেনজোয়েল পার অক্সাইড বা স্যালিসাইলিক অ্যাসিডযুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে একনে কেয়ার শুরু করা উচিত।
৫. সানস্ক্রিন:
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষা করতে SPF ৫০ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা মাস্ট। যেকোনো আবহাওয়াতেই এটি ব্যবহার করা উচিত।জ৬. ঠোঁটের যত্ন:
ঠোঁটের জন্য প্রতিদিন SPF যুক্ত লিপবাম ব্যবহার করুন এবং মধু-চিনি দিয়ে হালকা স্ক্রাব করুনযে৭. মুখে ঘন ঘন হাত না দেওয়া:
হাতের জীবাণু ত্বকে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই মুখ স্পর্শের আগে হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
৮. মেকআপ সতর্কতা:
টিনেজারদের মেকআপ ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ভালো মানের প্রোডাক্ট বেছে নেওয়া উচিত। ঘুমানোর আগে মেকআপ সম্পূর্ণভাবে রিমুভ করা মাস্ট।
৯. স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন:
ত্বককে সুস্থ রাখতে সুষম খাবার, পর্যাপ্ত পানি, এবং ভালো ঘুমের প্রয়োজন। ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন এবং হাইজিন বজায় রাখুন।
টিনেজ স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চললে ভবিষ্যতে বড় কোনো স্কিন সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। নিজের ত্বকের জন্য এই সামান্য যত্ন আত্মবিশ্বাসও বাড়াবে।
জেডএস/