চাকরি ও পাসপোর্ট করতে পুলিশ ভেরিফিকেশন বন্ধের সুপারিশ করবে কমিশন
যেকোনো ধরনের চাকরি ও পাসপোর্ট করতে পুলিশ ভেরিফিকেশন যেন না থাকে সে বিষয়ে সুপারিশ করা হবে বলে জানিয়েছেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।
কমিশন প্রধান জানান, পাসপোর্ট পাওয়া নাগরিক হিসেবে অধিকার। এটার জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন কেন করতে হবে। ইংল্যান্ডে পাসপোর্টের আবেদন করলে পোস্ট অফিসে পাসপোর্ট চলে আসে। প্রত্যেক নাগরিকের পাসপোর্ট পাওয়ার অধিকার আছে।
আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূর করার বিষয়ে তিনি বলেন, উপ ও যুগ্ম সচিব পর্যায়ে পরীক্ষা ছাড়া কোনো পদোন্নতি দেওয়া হবে না। পরীক্ষায় ৭০ না পেলে তাকে পদোন্নতি দেওয়া হবে না। এর মাধ্যমে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূর হবে। যেকোনো ক্যাডারের যে কেউ ৭০ পেলে প্রশাসন ক্যাডারে আসতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, সরকার তথ্য অধিকার আইনকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রতিটি জেলা এবং বিভাগে এ বিষয়টি দেখভাল করতে একজন করে কর্মকর্তা দেওয়া হবে। তবে এখনো তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োগ সেভাবে হচ্ছে না।
মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষা ক্যাডারটা অযৌক্তিক। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা আলাদা। আমরা সুপারিশ করছি, এটি ক্যাডার রাখা যাবে না। যেমন- একজন চোখের ডাক্তার, একজন দাঁতের ডাক্তার, আরেকজন জেনারেল ফিজিশিয়ান- পদোন্নতি কি তারা একসঙ্গে পাচ্ছেন? পাচ্ছেন না। সে জন্য আমরা বলেছি, এটা ক্যাডারে রাখা যাবে না। এটা আমাদের চিন্তা যে এটা ক্যাডার করা অযৌক্তিক হয়েছে। এগুলোকে আলাদা করতে হবে। বেতন বাড়িয়ে দেওয়া হোক, এটা বিশেষায়িত বিভাগ। এই দুই বিভাগ ছাড়া বাকি সবই ক্যাডার থাকতে পারবে। কিন্তু এই বিভাগে এটা সম্ভব নয়। আমাদের ধারণা এটা। এখন আমরা আলাপ-আলোচনা করব।’
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘পাবলিক সার্ভিস কমিশন থেকে সরে গিয়ে আমাদের জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন আলাদা হয়েছে। ঠিক এ রকম আমরা স্বাস্থ্য কমিশন আলাদা ও শিক্ষা ক্যাডারকে আলাদা করার পরামর্শ দিয়েছি।’
প্রসঙ্গত, এ সময় কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আই/এ