জাতীয়

শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে সমাধানের আশ্বাস স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের সমস্যাগুলো দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। বলেছেন স্বরাষ্ট্র  উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। 

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্র  উপদেষ্টা বলেন, ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে। আমার মনে হয় আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে সবারই আমাদের একটু ধৈর্য ধরতে হবে। যদি আমরা অধৈর্য হয়ে যাই, কোনো কিছুরই সমাধান হবে না। সবাইকে ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে।

পুলিশ ধৈর্যের সঙ্গেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, পুলিশকে ধৈর্যের সঙ্গেই পরিস্থিতি মোকাবেলা করার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু অনেক সময় পুলিশ সেটি পারে না।

মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি থাকতে পারে। সেটি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত।

রাস্তা আটকে আন্দোলন না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রাস্তা ব্লক না করে তাদের যে মাঠ আছে অথবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আছে এসব জায়গায় যদি প্রতিবাদ করলে সবচেয়ে ভালো। রাস্তা ব্লক করলে যানজটের সৃষ্টি হয়, জনগণ একটা দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন।

 গতকাল রোববার (২৬ জানুয়ারি) রাতভর নীলক্ষেত মোড়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাবি শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।

 সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সাত কলেজে ভর্তির আসন কমানোসহ ৫ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে ঢাবির সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদ এবং কয়েকজন শিক্ষক অর্ধ-শতাধিক শিক্ষার্থীকে অপমান করেন। কথা না বলেই তাদের বের করে দেন মামুন আহমেদ।

 এ ঘটনায় রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মিছিল নিয়ে যান ঢাবির সহ-উপাচার্যের বাসভবনের দিকে।

 নীলক্ষেত মোড়ে পৌঁছালে মিছিলটি ঢাবি শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি হয়। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে দুপক্ষের উত্তেজনা। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, যা এক পর্যায়ে রূপ নেয় সংঘর্ষে। ঘটে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে রাত ৩টা পর্যন্ত। এতে আহত হন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।

 

এসি//

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন