যুক্তরাষ্ট্রে বিমানের সঙ্গে সামরিক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ, পরিকল্পিত না দুর্ঘটনা?

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির রোনাল্ড রিগান ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের কাছে বুধবার রাতে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ও মার্কিন সেনাবাহিনীর ব্লাক হক হেলিকপ্টারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির কর্তৃপক্ষ নিহতের সংখ্যা আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো জানায়নি।
তবে এক পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে সিবিএস নিউজ বলছে, বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় কমপক্ষে ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। অন্যদিকে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স বলছে, নদী থেকে বেশ কয়েকজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আর বিমানটি যে স্থান থেকে উড্ডয়ন করেছিলো, সেই কানসাসের সিনেটর রজার মার্শাল ধারণা করছেন, দুর্ঘটনায় সবাই মারা গেছেন। যাত্রীবাহী বিমানটিতে ছিলেন ৬৪ জন আরোহী, আর সামরিক হেলিকপ্টারটিতে ৩ জন।
আর এই ঘটনার পরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্ট দিয়েছেন, যা নিয়ে রীতিমত শুরু হয়ে জল্পনা কল্পনা। তিনি লিখেছেন, হেলিকপ্টারটি অনেক সময় ধরে বিমানের দিকে যাচ্ছিলো। রাতের আকাশ পুরোপুরি পরিষ্কার ছিলো। বিমানের আলোও ঠিকঠাক মত জ্বলছিলো, হেলিকপ্টারটি কেনো উপরে, নিচে বা অন্যদিকে গেলো না।
ট্রাম্প আরও লিখেছেন, আর নিয়ন্ত্রণ কক্ষ হেলিকপ্টারটি কে কী করতে হবে, তা না বলে, তারা বিমানটি দেখেছে কি না জিজ্ঞেস করলো কেনো। এটা খুবই খারাপ একটা অবস্থা, যা দেখে মনে হচ্ছে এটি প্রতিরোধ করা উচিত ছিলো। ভাল কিছু নয়।
এদিকে ট্রাম্পের এই বক্তব্যের পর বিশ্বের বিমান বিশেজ্ঞরাও এই দুর্ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। বিশেষ করে বিমানবন্দরটির সর্বাধুনিক এয়ারস্পেস ব্যবস্থা ও হেলিকপ্টারটিকে দেয়া নির্দেশনা কেন মানা হলো না তা নিয়ে।
এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তা দেখভালকারী কর্মকর্তা টনি স্টানটন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, বিমানটির গতিপথ ও রেডিও সংকেত প্রেরণ দেখার পর এটি পরিষ্কারভাবে বলা যায়, ব্লাক হক হেলিকপ্টারটিকে যাত্রীবাহী বিমানটি থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছিলো। কেনো সামরিক হেলিকপ্টারটি ভিজ্যুয়াল সেপারেশন অমান্য করলো, তা আমি অবশ্যই খতিয়ে দেখব।
এনএস/