জাতীয়

‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন, ছবিতে যা দেখা গেলো

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ বুধবার ঢাকায় আওয়ামী লীগ সরকারের গোপন বন্দিশালা ও নির্যাতন সেল হিসেবে পরিচিত ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনের কিছু ছবি বিভিন্ন মাধ্যমে এসেছে। 

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সদস্য, দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকর্মী ও ভুক্তভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ঢাকার উত্তরা, আগারগাঁও ও কচুক্ষেতের তিনটি স্পট পরিদর্শন করেন।

এ সময় ভুক্তভোগীরা নির্যাতনের ভয়াবহতার প্রতীক হিসেবে কচুক্ষেত বন্দিশালার দেয়ালগুলো দেখান।

এছাড়া আগারগাঁও বন্দিশালায় একটি ইলেকট্রিক চেয়ার দেখানো হয় প্রধান উপদেষ্টাকে।

শেখ হাসিনার শাসনামলে এসব গোপন বন্দিশালায় জিজ্ঞাসাবাদের নামে আটক ব্যক্তিদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হতো বলে অভিযোগ রয়েছে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার দেশে ‘আইয়ামে জাহেলিয়া (অন্ধকার যুগ)’ প্রতিষ্ঠা করেছিল বলে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

অধ্যাপক ইউনূস সাংবাদিকদের বলেন, ‘বীভৎস দৃশ্য। নৃশংস জিনিস হয়েছে এখানে।’ তিনি বলেন, ‘যতটাই শুনি মনে হয়, অবিশ্বাস্য, এটা কি আমাদেরই জগৎ, আমাদের সমাজ? যাঁরা নিগৃহীত হয়েছেন, তাঁরাও আমাদের সমাজেই আছেন। তাঁদের মুখ থেকে শুনলাম। কী হয়েছে, কোনো ব্যাখ্যা নেই।’       

                            

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের বিনা কারণে, বিনা দোষে উঠিয়ে আনা হতো। সন্ত্রাসী বা জঙ্গি বলে এখানে ঢুকিয়ে রাখা হতো।’

তিনি বলেন, ‘এই রকম টর্চার সেল সারা দেশে আছে। ধারণা ছিল, এখানে কয়েকটা আছে।

এখন শুনছি বিভিন্ন ভার্সনে দেশজুড়ে আছে। কেউ বলছে ৭০০ কেউ বলছে ৮০০, সংখ্যাও নিরূপণ করা যায়নি।

 

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের বিনা কারণে, বিনা দোষে উঠিয়ে আনা হতো। সন্ত্রাসী বা জঙ্গি বলে এখানে ঢুকিয়ে রাখা হতো।’

তিনি বলেন, ‘এই রকম টর্চার সেল সারা দেশে আছে।

 

জেএইচ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন