বিনোদন

তিন-চারটে বিয়ে সমাজের চোখরাঙানি, কিচ্ছু আসে-যায় না : শ্রাবন্তী

কলকাতার বাংলা সিনেমায় দাপটের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন অনেক বছর ধরে অভিনেত্রী শ্রাবন্তী। কাজ করেছেন বাংলাদেশেও। সংগ্রামী এ জীবন নিয়ে ভারতের একটি গণমাধ্যমে কথা বলেছেন এ অভিনেত্রী।

শ্রাবন্তী বলেন, নিজেকে শক্ত করে রাখতে হয়েছে। আমি মনে করি জীবন একটাই আর আমার জীবন আমিই বাঁচব। আমার বিল কেউ ভরে দেবে না, বাড়ি, গাড়ির মাসিক কিস্তি কেউ ব্যাংকে গিয়ে দিয়ে আসবে না। আমার ছেলেকেও কেউ মানুষ করবে না। আমিই করব এগুলো। তার পাশাপাশি আমাকেও ভালো থাকতে হবে। ঈশ্বরের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, মা-বাবাকেও ধন্যবাদ যে আমি এ রকম একটা জীবন পেয়েছি। মা-বাবা যত দিন রয়েছেন, তাঁদের সান্নিধ্যে রয়েছি। দর্শকের জন্য আরও ভালো কাজ করতে চাই, এটুকুই। বাকি কে কী বলল, আমার কিছু এসে-যায় না।

প্রেম-বিয়ে নিয়েও কথা বলেছেন শ্রাবন্তী। তিনি বলেন, প্রেমে তো থাকিই। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে ভবিষ্যৎ ভাবতে শুরু করে দেয় সকলে। আমার একটু সময় লাগে সব কিছুতে। প্রত্যেকের বাঁচার অধিকার রয়েছে। সে কিসে ভালো থাকবে, সেটা তো তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তা না, তিন-চারটে বিয়ে, সমাজের কত চোখরাঙানি! আমার কিচ্ছু আসে-যায় না!

শ্রাবন্তী জানান ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আপাতত সে রকম কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে ভবিষ্যতে করব কি না বলতে পারছি না। জীবন উপভোগ করছি। আমি তো লড়াই করেই যাচ্ছি। আমার ভাল লাগে লড়াই করতে।

ভেঙে পড়ি মাঝেমাঝে। তবে তা কাছের মানুষদের সামনে। তার পর নিজেকে সামলে নিই। আমি ভীষণ অনুভূতিপ্রবণ। ভেঙে পড়েও নিজেকেই বোঝাই, ‘উঠে দাঁড়াতেই হবে। নিজেকে শক্ত রাখতে হবে। না হলে এত বড় রাজত্ব চালাব কীভাবে! মা-বাবা রয়েছেন, আমিই তো খুঁটি আমার পরিবারের।

খুব অল্প বয়সে মা হয়েছি। আমি তো ভাগ্যবান যে অল্প বয়সে মা হয়েছি। আমার ছেলের সঙ্গেই আমি বড় হয়েছি। ১৬ বছর বয়সে মা হয়েছি। তখন দশম থেকে একাদশ শ্রেণি। আজ আমার ছেলে আর আমি বন্ধু, ভাইবোন। এখন ও আমার অভিভাবক। আমি ওকে ‘রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার’ নাম দিয়েছি। এত শাসন করে আমাকে! আমাকে বলে, “তোমার মধ্যে কোনও দিন পরিণতিবোধ আসবে না! শিশুই থেকে যাবে!” আমি বলি, আমার এ রকমই ভাল লাগে।

 

জেএইচ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন