আন্তর্জাতিক

মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক ঘাঁটির আদ্যপ্রান্ত

ইসরাইলকে সঙ্গে নিয়ে গোটা মধ্যপ্রাচ্য দাপিয়ে বেড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।  আর এই দাপটের মূলে আছে অঞ্চলটিতে থাকা দেশটির বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি।  সৌদি আরব থেকে শুরু করে মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সব দেশেই মার্কিন  সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের কোন কোন দেশে কতটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আছে ও তাদের সক্ষমতা কেমন, তার একটি তথ্য প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদসংস্থা রয়টার্স।  

সংবাদ সংস্থাটির মতে, মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বড় মার্কিন ঘাঁটি রয়েছে কাতারে।  দেশটির রাজধানী দোহারের পশ্চিমে অবস্থিত আল উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে রয়েছে বিপুল সংখ্যক মার্কিন সেনা। ১৯৯৬ সালেএটি প্রতিষ্ঠিত হয়। কাতার ছাড়াও বাহরাইন, কুয়েত, সৌদিআরব ও সংযুক্ত আরব-আমিরাতে রয়েছে মার্কিন ঘাঁটি।  

রয়টার্স বলছে, এসব ঘাঁটিতে সাধারণ সময়ে মার্কিন সেনা থাকে প্রায় ৩০ হাজার। তবে বড় কোনো অভিযানের সময়ে এই সংখ্যা বাড়ানো হয় কয়েক গুণ । ২০০১ সালে আফগানিস্তানে হামলা শুরুর পর বিভিন্ন ঘাঁটিতে মার্কিন সৈন্য বেড়ে দাঁড়িয়েছিল এক লাখের বেশি। এছাড়া ২০০৩ সালে ইরাকে হামলা চলাকালে এসব ঘাঁটিতে মার্কিন সৈন্যসংখ্যা  ছাড়ায় ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি।

এছাড়া সিরিয়ায় দুএকটি ঘাঁটিতে প্রায় দুই হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। তাদের বেশিরভাগই  অবস্থান করছে সিরিয়ার উত্তর–পূর্বে। ইরাকে রয়েছে প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সেনা। রাজধানী বাগদাদের তৃতীয় ইউএস ইউনিয়ন বা ফরোয়ার্ড অপারেটিং বেজ-এফওবি’তে এসব সেনা অবস্থান করছে।

পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র জর্ডানে কয়েক  শ’ মার্কিন প্রশিক্ষক অবস্থান করছেন। তাঁরা বছর জুড়ে ব্যাপক মহড়ার আয়োজন করে থাকেন। কাতার ও আরব আমিরাতে মূলত দেশ দুটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য মার্কিন সেনা রাখা হয়েছে। তাঁরা দেশ দুটির সেনাদের প্রশিক্ষণ দেন। সামরিক কোনো অভিযানের প্রয়োজন হলে এসব সেনাদের সহায়তা নেয় দেশগুলো।

রয়টার্স বোলছে, এসব সামরিক ঘাঁটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যাপক উন্নত। ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা ঠেকাতে সেখানে আছে অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। বিশেষ করে কাতার, বাহরাইন, সৌদিআরব ও কুয়েতে থাকা মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে আঘাত করা খুব কঠিন।

এনএস/ 

 

 

 

 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন