ফুলছড়ি যুবদলের আহ্বায়ক নান্টুর বিরুদ্ধে মদ-চাঁদাবাজির অভিযোগ

গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম নান্টুর মদ্যপ অবস্থায় একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে সাঘাটা-ফুলছড়ি গাইবান্ধা আসনের সাধারণ জনগণের মাঝে। তার ব্যাপারে চাঁদাবাজি-মদের আসর গড়ে তুলার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়ে নজরুল ইসলাম নান্টু ও ফারুক মিয়াসহ যুবদলের বর্তমান মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির নেতারা। তাদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না চরবেষ্টিত উপজেলার মুচি দোকান পর্যন্ত। পটপরিবর্তনের পরপরই আওয়ামী সুবিধাভোগী এবং সম্প্রতি অর্থের বিনিময়ে বিএনপিতে যোগদান কারী নাহিদুজ্জামান নিশাদের টাকায় নদী থেকে বেপরোয়া ভাবে বালু উত্তোলন ব্যবসা শুরু করে যুবদলের মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম নান্টু এবং সদস্যসচিব ফারুক মিয়া।
অভিযোগ উঠেছে ফারুক কন্চিপাড়া বাজারে মুচি দোকান থেকেও দৈনন্দিন ৫০ টাকা করে চাঁদা নেন।
অভিযোগ রয়েছে অর্থের বিনিময়ে বিএনপিতে যোগ দেন নিশাদ। আর এই নিশাদই প্রশ্রয় দিচ্ছেন নান্টু ও ফারুকের। নিশাদ দলে যোগদান করার পর থেকেই সাঘাটা-ফুলছড়ি বিএনপিতে ব্যাপক হারে দলীয় কোন্দলও দেখা দিয়েছে।
নিশাদ অর্থের বিনিময়ে সাঘাটা উপজেলা বিএনপির মঈন প্রধান লাবু, আবুল কালাম আজাদ, যুবদলের শাহীন, ছাত্রদলের মৃদুলসহ একটি গ্রুপকে কাজে লাগাচ্ছে।
সাঘাটা উপজেলা বিএনপি এবং সাদেকুল ইসলাম নান্নু, নজরুল ইসলাম নান্টু, ফারুক, লিংকন, পাভেল, বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা আলমাসসহ ফুলছড়ি উপজেলার চিহ্ণিত গ্রুপকে অর্থ দিয়ে ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপি অস্থির করে রেখেছেন নিশাদ।
নাহিদুজ্জামান নিশাদ এর আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিচ্ছে ফুলছড়ি থেকে নান্টু-ফারুক-লিংকন তাদেরও কিছু সহযোগী। সাঘাটা থেকে লাবু-আজাদ-মৃদুলসহ একটি চক্র চাদাবাজি করছে।
এতে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে মনে করেন এলাকার সাধারণ বিএনপি নেতাকর্মীরা। নান্টুর জঘন্য কার্যক্রমের বিচার চেয়ে ফেসবুক অন্তত ১০০ জন ত্যাগী নেতাকর্মী পোষ্ট দিয়েছে।
এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম নান্টু বলেন, কিছু বিপথগামী কর্মীর জন্য দলের ক্ষতি হচ্চে।
জেলা যুবদলের সভাপতি রাগী হাসান বলেন এদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দলের উচ্চ পর্যায়ে জানানো হবে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদন্নবী টিটুল বলেন, দলের জন্য ক্ষতিকর কাউকে রেহাই দেয়া হবে না। ব্যক্তির চেয়ে দল বড়।
জেএইচ