দেশজুড়ে

স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যার পর লাশে আগুন দিলেন চা বিক্রেতা

ছবি: সংগীত

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামে ঘটেছে এক মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড।  অভিযোগ উঠেছে, এক চা বিক্রেতা তার স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা করার পর তাদের মৃতদেহে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মো. ওবায়দুল হক বাদল খান (৪৫) পলাতক রয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে কিছুই জানাতে পারছেন না নিহতদের স্বজনরা, এবং বিষয়টি নিয়ে পুলিশের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ মে) ভান্ডারিয়া থানার ওসি আহমদ আনওয়ার এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন- ধাওয়া গ্রামের নূর মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী ফরিদা বেগম (৬৫) এবং তার মেয়ে চম্পা বেগম (৩২)।

স্থানীয়দের উদ্ধৃত্তি দিয়ে পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত বাদল খান এর আগে তিনবার বিয়ে করেছেন এবং সর্বশেষ গত ১৬ এপ্রিল তার প্রতিবেশী চাচাতো বোন চম্পাকে বিয়ে করেন। এরপর থেকে তিনি তার স্ত্রী চম্পা, শাশুড়ি ফরিদা বেগম এবং প্রথম স্ত্রীর ছেলে ইয়াসিন (১০) নিয়ে একটি ফাঁকা বাড়িতে বসবাস করছিলেন।

সোমবার রাত ১১টার দিকে, ইয়াসিন ঘর থেকে পালিয়ে এক প্রতিবেশীকে জানায় যে, তার বাবা সৎ মা চম্পা এবং সৎ নানি ফরিদা বেগমকে হত্যা করেছেন। এই খবর দেয়ার পর ইয়াসিন আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে চম্পার মামাতো বোন এবং প্রতিবেশী নাছিমা বেগম ঘরের মধ্যে গিয়ে দুজনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। তাদের শরীরে আগুন জ্বলছিল। তখন টয়লেটের পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়।

তবে হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে কেউ কিছু জানাতে পারছেন না। পুলিশ মনে করছে, হত্যাকাণ্ডের পেছনে পারিবারিক কোনো সমস্যা থাকতে পারে, কারণ বাদল খান মাত্র ২০ দিন আগে তার চতুর্থ বিয়ে করেছিলেন। 

এদিকে, পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। স্থানীয় থানা, ডিবি পুলিশ এবং সিআইডি পুলিশের সদস্যরা ঘটনার তদন্ত করছেন। পলাতক অভিযুক্ত বাদল খানের ধাওয়া বাজারে একটি চায়ের দোকান আছে।

ভান্ডারিয়া থানার ওসি আহমদ আনওয়ার জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে পারিবারিক কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে, তবে তদন্ত চলছে এবং হত্যার আসল কারণ শিগগিরই উদঘাটিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

এসি//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন