এপ্রিলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৮৩, বেশিরভাগই মোটরসাইকেলে

গেলো এপ্রিল মাসে দেশে সড়ক, নৌ ও রেলপথ মিলিয়ে মোট ৬১০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে শুধু সড়কেই দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫৬৭টি। এতে ৫৮৩ জন নিহত ও ১ হাজার ২০২ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই মারা গেছেন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়।
মঙ্গলবার (০৬ মে) সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এপ্রিল মাসে রেলপথে ৩৫টি দুর্ঘটনায় ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, আর নৌপথে ৮টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন।
এই সময়ে ২১৫টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২২৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২২৪ জন।
মোট দুর্ঘটনার ৩৭ দশমিক ৯১ শতাংশই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বলে জানায় যাত্রী কল্যাণ সমিতি, নিহতের ৩৯ দশমিক ২৭ শতাংশ। এপ্রিলে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম বিভাগে। সেখানে ১৩৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩৬ জন নিহত হয়েছেন।
সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে সিলেট বিভাগে, ২৮টি।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণে এই তথ্য পেয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
সমিতি জানায়, মোট দুর্ঘটনার প্রায় ৫১ শতাংশই গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৩ দশমিক ৮০ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৮ দশমিক ৫১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে হয়েছে।
সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৪ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে ঘটেছে।
দুর্ঘটনার ৬ কারণ
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ মতে, এপ্রিল মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণের মধ্যে রয়েছে,
১. দেশের সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত রিকশার অবাধ চলাচল,
২. জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকা।
৩. জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টার্নিং চিহ্ন না থাকা।
৪. মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা।
৫. উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাদাঁবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন।
৬. অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানো।
এসি//