দেশজুড়ে

জুলাই আন্দোলনে নিহতের মরদেহ উত্তোলনে পরিবারের বাধা

ধর্মীয় অনুভূতি বিবেচনা করে সাভারে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত শিক্ষার্থী শ্রাবণ গাজীর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করতে দেয়নি তাঁর পরিবার। পরে পরিবারের আপত্তির মুখে মরদেহ উত্তোলন না করেই ফিরে যান ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সিআইডির সদস্যরা।

বুধবার (৬ মে) দুপুরে আদালতের নির্দেশে আশুলিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আক্তারের নেতৃত্বে ময়নাতদন্তের জন্য ডেইরি ফার্ম আবাসিক এলাকার কবরস্থান থেকে শহীদ শ্রাবণ গাজীর মরদেহ উত্তোলন করতে যায় সিআইডির একটি দল। এসময় নিহতের পরিবার মরদেহ উত্তোলনে বাঁধা দেন।

 নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আক্তার জানান, 'আদালতের নির্দেশে সকল ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে সিআইডির একটি দল শ্রাবণ গাজীর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের জন্য এসেছিলো। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা চাননি দীর্ঘদিন পর কবর থেকে তাদের সন্তানের মরদেহ তোলা হোক। তাদের অনুভূতির প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা ফিরে যাচ্ছি । যেহেতু আদালতের নির্দেশনায় আমরা গিয়েছিলাম, আমরা বিষয়টি আদালতকে সেভাবেই অবগত করব'।

 শ্রাবণ গাজী মালয়েশিয়ার টুঙ্কু আব্দুল রহমান ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজিতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ১৬ জুলাই দেশে আসে সে, এরপর ৫ আগস্ট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচির অংশ হিসাবে ছাত্র-জনতার পদযাত্রায় যোগ দেয়। পদযাত্রাটি সাভারে পৌঁছানোর পর হঠাৎ একটি গুলি এসে শ্রাবণের মাথায় লাগলে মুহূর্তেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে আশুলিয়ার গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজে নেয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 শ্রাবণই প্রথম যুবক, যিনি গত ৫ আগস্ট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়া পদযাত্রায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় শহীদ শ্রাবণের বাবা মান্নান গাজী বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত দেয়া হয় সিআইডিকে‌।

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন